বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে পরিবর্তনের আশায় বুক বেঁধেছিলেন সাধারণ মানুষ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের উপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশের শাসনভার সমর্পিত হয় মহম্মদ ইউনূসের হাতে। তবে অনেকেই বলে থাকেন, বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল একটি ‘মাধ্যম’ মাত্র।
বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস শাসনকালের রিপোর্ট
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের (Bangladesh) নিপীড়িত জনগণের সুপ্ত ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই। ছাত্র-জনতা আন্দোলনের চাপে গত ৫ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। পদ্মাপারের সিংহাসনে চড়ে বসেন নোবেল জয়ী ড. ইউনূস। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ ইউনূসের হাত ধরেই নয়া এক পরিবর্তনের সাক্ষী থাকতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের আম নাগরিক।
আরও পড়ুন : আর যাচ্ছেনা সামলানো! এই একটা কারণেই ভারতে ফের বাড়তে চলেছে গাড়ির দাম
তবে গত কয়েক মাসে আদৌ কি কোনও পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের সাধারণ জনতার জীবনে? কিছুটা হলেও কি সুখের মুখ দেখেছেন ওপার বাংলার বাঙালিরা? বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা BIDS-এর তরফে সম্প্রতি যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তাতে ধরা পড়েছে ভয়াবহ এক ছবি। ইউনূস সরকারের আমলে উন্নতি তো দূর, সে দেশের সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বেড়েছে বেশ কিছুটা।
আরও পড়ুন : নিজের হাতে তৈরি উপহার নিয়ে অক্সফোর্ড চললেন মুখ্যমন্ত্রী! গাড়ি নয়, বাসে চেপেই শুরু সফর
এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশ জুড়ে যেখানে ২০২২ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮.০৭ শতাংশ, ইউনূস (Mohammad Yunus) আমলে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.১১ শতাংশে। BIDS প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শহর এলাকায় আগে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৪.৭ শতাংশ। তবে ২০২৪ সালে শহরাঞ্চলে দারিদ্রতার হার গিয়ে ঠেকেছে ২০.৪৩ শতাংশে।
শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও দারিদ্রতার হার বেড়েছে লক্ষণীয়ভাবে। আগে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে দারিদ্রতার হার ছিল ২০ শতাংশ। তবে গত দুবছরে সেই হার ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ২৪ শতাংশে। পাশাপাশি এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে (Bangladesh) ২০২২ সালে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ছিল ৩৮ শতাংশ।
২০২৪ সালে সেই সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ শতাংশে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দারিদ্রতা সংক্রান্ত এই সমীক্ষা BIDS শুধু একা করেনি। রাষ্ট্রপুঞ্জের আওতাধীন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিও (World Food Programme) অংশ নেয় এই সমীক্ষায়। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের আমজনতার ‘সুখের দিন’ যে ‘সোনার পাথর বাটি’ সেটাই ফের একবার যেন খাতায়-কলমে প্রকাশ করল BIDS।