বাংলাদেশে নেই শান্তি! হাসিনার পর এবার বড় বিপদে পড়শি দেশের রাষ্ট্রপতি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভাষা দিবসেও বাংলাদেশে (Bangladesh) অব্যাহত রইল বিতর্ক। ২১ শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তাঁকে ঘিরে ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। এমনকি এতদিনের চলতি রীতি অমান্য করে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও শ্রদ্ধা জানাননি তিনি। এ নিয়ে শুক্রবার গোটা দিন জুড়েই উত্তপ্ত ছিল বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

ভাষা দিবসেও বিতর্ক বাংলাদেশে (Bangladesh)

রীতি অনুযায়ী, ভাষা দিবসে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে শহিদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। কিন্তু সূত্র বলছে, এবারে সেই রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতি ফিরে যাওয়ার সাত মিনিট পর সেখানে পৌঁছান ইউনূস। এ নিয়েও শুরু হয়েছে সমালোচনা। আসলে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরেও বাংলাদেশের (Bangladesh) রাষ্ট্রপতি পদে থেকে গিয়েছেন সাহাবুদ্দিন। যদিও কম নিন্দা, সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে। এমনকি হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেও তাঁকে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে ইউনূস পন্থীদের কাছে।

Bangladesh president may land in trouble

রাষ্ট্রপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ: কিছুদিন আগেই বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে মন্তব্য করেছিলেন, ‘অমর একুশে দিবসে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন যেন কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে না আসেন। নয়তো তাঁকে করুণ পরিণতির মুখে পড়তে হবে’। কিন্তু সে হুঁশিয়ারি কানে তোলেননি সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার রাত বারোটা বাজার আগেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পৌঁছান তিনি। কিন্তু তিনি সেখানে পৌঁছাতেই চরমে ওঠে বিক্ষোভ। জুলাইয়ের গণহত্যার ঘটনায় হাসিনার সঙ্গে তাঁরও সায় ছিল বলে অভিযোগ তুলে ওঠে ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান।

আরো পড়ুন : জি এর কাছে হেরে ভূত, নতুন মেগার জন্য এই সিরিয়াল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জলসার!

সায় রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের: আব্দুল ওয়াহেদ এদিন বলেন, জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনার (Bangladesh) সঙ্গে হাত মিলিয়ে গণহত্যার সুযোগ করে দিয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন। শহিদ দিবসে তাঁর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ‘ভণ্ডামি’ ছাড়া কিছু নয়। পদত্যাগ করে বিচারের সম্মুখীন হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই চুপ্পুর কাছে। এদিন অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh) কোনো উপদেষ্টাই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেননি বলে উঠছে অভিযোগ। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, সাহাবুদ্দিনকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচি আগে থেকে ঠেকানোর চেষ্টা কেন করল না বাংলাদেশের (Bangladesh) পুলিশ? এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচ্ছন্ন ‘মদত’ রয়েছে কিনা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

আরো পড়ুন : চড়চড়িয়ে চড়বে TRP, মহাশিবরাত্রিতে “মহা তাণ্ডব” পর্ব আনছে জলসার টপার মেগা!

অবশ্য সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি উঠলেও আদতে তাঁকে রাষ্ট্রপতির আসন থেকে সরাতে পারবে না ইউনূস সরকার। কারণ সেক্ষেত্রে সংসদে আনা নিন্দা প্রস্তাবে অন্তত দুই তৃতীয়াংশ সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের (Bangladesh) সংসদ সক্রিয় নয়। তাছাড়া হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে আর নির্বাচনও হয়নি বাংলাদেশে। সাহাবুদ্দিন নিজে থেকে পদত্যাগ করলে অবশ্য তা গ্রহণ করতে পারবে ইউনূস সরকার। কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনো মতেই চাইছে না তাঁর পদত্যাগ। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে (Bangladesh) রাজনীতির হাওয়া কোন দিকে ঘোরে সেটাই দেখার অপেক্ষা।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর