বাংলা হান্ট ডেস্ক: পড়শি দেশ বাংলাদেশের (Bangladesh) তরফ থেকে শনিবার ভারত (India) সফরে এসেছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Seikh Hasina)। এদিন ভারত সফরে এসে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সাথে বৈঠকের পর ভারতের তরফ থেকে একগুচ্ছ উপহার পেলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের তরফ থেকে ঘোষণা করা এই একগুচ্ছ উপহার থেকে শুধু বাংলাদেশ নয় লাভবান হবে ভারতও।
ভারত বাংলাদেশ পরিবহন ব্যবস্থায়ও শুরু হচ্ছে নতুন যুগ। রাজশাহী থেকে কলকাতার মধ্যে আগামী দিনে চালু হবে নতুন রেল পরিষেবা। এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে কলকাতার মধ্যে নতুন বাস পরিষেবাও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, আগামী দিনে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করে তুলতে পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্দেশ্যেই চালু করা হচ্ছে একাধিক পরিষেবা।
চালু হবে গেদে দর্শনা এবং হলদিবাড়ি-চিলাহাটির মধ্যে মালগাড়ি পরিষেবা। যা অসমের দলগাঁও পর্যন্ত যাবে বলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। এই সমস্ত রেল পরিবহন ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে উভয় দেশই অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হতে চলেছে আগামী দিনে। এছাড়াও ভারত বাংলাদেশের মধ্যে চালু করা হবে বিশেষ পরিষেবা।
এদিন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে বাংলাদেশ থেকে আগত রোগীদের জন্য এবার চালু করা হবে ই-ভিসা। তাছাড়া রোগীদের জন্য চালু হবে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ প্রকল্প। জানা যাচ্ছে এই প্রকল্পের সর্বোচ্চসীমা থাকছে আট লাখ। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তে আগামী দিনে বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন: টেলিকম পরিষেবায় আসছে নতুন আইন! এবার Jio-Airtel নিয়ন্ত্রণ কররবে সরকার
শুধু তাই নয়, খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশেও UPI (ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস) পরিষেবা চালু করা হবে। আর এক্ষেত্রে বিশেষ সাহায্য করবে ভারত। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর ইউপিআই চালু করার জন্য ‘ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন ইন্ডিয়া’ (এনপিসিআই) এবং বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চুক্তি হবে। পাশাপাশি গঙ্গা চুক্তি নিয়ে আবার আলোচনায় বসার জন্য যৌথ টেকনিক্যাল কমিটি তৈরি করার বিষয়ে একমত হয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। অন্যদিকে, বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা নদীর সংরক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণের প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশে যাবে ভারতের একটি প্রতিনিধি দল। এছাড়াও বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে ইনল্যান্ড কনটেনার ডিপোর নির্মাণ করা হবে। সেইসাথে সেদেশের বাংলাদেশি পুলিশ অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য ৩৫০টি জায়গা রেখে দেওয়া হবে বলে। পাশাপাশি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কর্মসূচিতেও যোগ দেবে বাংলাদেশ।