বাংলা হান্ট ডেস্ক: মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবার একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সরকার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু তৈয়ব মোহাম্মদ জহিরুল আলমকে ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার (NSA) হিসেবে নিযুক্ত করেছে। এদিকে, জহিরুল আলমের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ভারতবিরোধী কার্যকলাপে উৎসাহিত করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এমতাবস্থায়, এই নিয়োগের কারণে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের (Bangladesh) পদক্ষেপে বাড়তে পারে উত্তেজনা:
জানিয়ে রাখি যে, জহিরুল আলম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (BNP) নেতাদের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি বর্তমান হোম অ্যাডভাইজার জাহাঙ্গীর আলম এবং বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রয়াত ভাই সৈয়দ ইস্কান্দারের সহপাঠী ছিলেন। জাহাঙ্গীর আলম ২০০১-০৬ সময়কালে বিএনপি সরকারের বর্ডার গার্ডের প্রধান ছিলেন।
এছাড়াও, জহিরুল আলম বাংলাদেশের (Bangladesh) ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি পাকিস্তানি সামরিক আধিকারিকদের কলেজে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন। যা ISI-এর সাথে তাঁর যোগসূত্র প্রমাণ করে। পরবর্তীতে তাঁকে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ ও বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যও করা হয়।
আরও পড়ুন: SBI-র গ্রাহকেরা হয়ে যান সতর্ক! প্রতিদিন কোন সময়ে কাজ করবে না নেট ব্যাঙ্কিং? জানিয়ে দিল ব্যাঙ্ক
ইউনূসের সাথে গভীর সম্পর্ক: জানা গিয়েছে যে, বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসের সাথে জহিরুল আলমের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা দু’জনেই চট্টগ্রামের বাসিন্দা। এমতাবস্থায়, তাঁর নিয়োগের বিষয়টি ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ঢাকার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, এই পদক্ষেপ ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও দুর্বল করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এটাও অনুমান করছেন, এই নিয়োগ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকির কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতে বুলেট ট্রেন চলাচলে হবে দেরি? নেপথ্যে রয়েছে চিন, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
জহিরুল আলম কে: জানিয়ে রাখি যে জহিরুল আলমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর ইস্কান্দার, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই ছিলেন। তিনি ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির টিকিটে ফেনী-১ থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন। ইস্কান্দার ইসলামিক টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন এবং ভারতবিরোধী শক্তির প্রচারের জন্যও পরিচিত ছিলেন।
২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপির নির্বাচনী বিষয়গুলি পরিচালনা করেন। এমতাবস্থায়, জহিরুল আলমের এই নিয়োগ বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। ইতিমধ্যেই ভারতের সাথে টানাপোড়েনের সম্পর্কের মধ্যে, এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে অবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: