বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৯টি দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ২৭ জন প্রতিনিধির সাথে দেখা করেন। এই সাক্ষাতকারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রিয়া সাহা।
সেখানে তিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন। একেবারে স্পষ্ট ইংরেজিতে প্রিয়াকে বলতে শোনা যায়,” স্যার আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানে ৩.৭ কোটি হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ গুম হয়েছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা বাংলাদেশেই থাকতে চাই। সেখানে এখন ১.৮ কোটি সংখ্যালঘু মানুষ রয়েছে। আমি আমার বাসস্থান হারিয়েছে। তারা আমার ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। জমিজমা দখল করে নিয়েছে।কিন্তু প্রশাসন বা সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমার অনুরোধ দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাইনা। শুধু আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।”
এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেন তার মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তেজনা। তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে এই প্রিয়া সাহা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ঐক্য পরিষদের এক আধিকারিকের স্ত্রী তার দুই মেয়ে থাকে আমেরিকায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ বাংলাদেশের কোন মানুষই বিশ্বাস করবে না।করেও না। কারন এ দেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর পরিশ্রমের কারণে দেশ আজ এ পর্যায়ে এসেছে। যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল।’