বাংলাহান্ট ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। হু হু করে বাড়তে চলেছে জিনিসপত্রের দাম। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে ‘সোনার বাংলা’র মানুষের মধ্যে ক্ষোভ। এককথায় বলা যায়, পরিস্থিতি সামলাতে অন্তর্বর্তীকালীন ইউনূসের সরকার ব্যর্থ। এমনকি সামান্য চালটুকু জোটাতে ভরসা করতে হচ্ছে পড়শি দেশের উপর।
শত্রু দেশের কাছে হাত পাতছে বাংলাদেশ (Bangladesh)
কয়েকদিন আগেই সব পাতে ভার তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ভারত থেকে চাল নিয়েছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। তবে চাহিদা মেটেনি বাংলাদেশিদের। প্রয়োজন আরও অনেক বেশি চাল। ফলে, চালের জোগান ফের কমে যাওয়ায় বাজারে চালের দাম ফের বাড়তে শুরু করেছে। এবার সেই কারণেই নয়া প্ল্যান করল বাংলাদেশ। ইউনূস সরকারের তরফে ঠিক করা হয়েছে যে, একসময়ের শত্রু দেশ থেকেই আমদানি করা হবে চাল।
নিশ্চয়ই ভাবছেন, কোন শত্রু দেশের কথা বলা হচ্ছে? দেশটি ভারত-বাংলাদেশের প্রতিবেশী মায়ানমার (Mayanmar)। রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সঙ্গে এক সময়ে মায়ানমারের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকলেও এখন সেসব অতীত। এবার অন্ন জোটাতে হিমশিম খাওয়া বাংলাদেশ ২২ হাজার মেট্রিক টন চাল নিল মায়ানমারের থেকেই। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, পাকিস্তানের থেকেও কিন্তু চাল নেবে বাংলাদেশ।
আরোও পড়ুন : আর কিছুক্ষণ! আর জি কর কাণ্ডে রায়দানের আগেই বিরাট কাণ্ড ঘটাতে চলেছেন চিকিৎসকেরা
এদিকে, মায়ানমারের একাধিক এলাকা আরাকান আর্মির দখলে চলে যেতেই উত্তাল হয়ে উঠেছে সেই দেশ। কিন্তু তাতে কি! বিপর্যস্ত মায়ানমারের থেকেই ২২ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানি করেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ইতিমধ্যেই চালান নিয়ে এমভি গোল্ডেন স্টার নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছয়। অপর দিকে এমভি এমসিএল-১৯ জাহাজে রয়েছে আড়াই হাজার টন চাল।
সব মিলিয়ে জাহাজ দুটিতে সাড়ে ২৪ হাজার টন চাল রয়েছে। জিটুজি চুক্তির আওতায় তা আনা হচ্ছে বলেও দাবি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর চুক্তির আওতায় প্রথম দফায় ভারত থেকে ২৪ হাজার ৬৯০ টন চাল সরবরাহ করেছে। সম্প্রতি ১৩ জানুয়ারি আরও এক দফায় চাল নিয়েছে বাংলাদেশ। এখন ভারতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আর চাল পাঠানো সম্ভব নয় ওপার বাংলায়।