আত্মহত্যার জন্য বিষ কিনতে গিয়ে দোকানির সঙ্গে প্রেম, ফের ধোঁকা খেয়ে বিষপান তরুণীর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্বামীর সঙ্গে প্রতিদিন ঝগড়া লেগে থাকত। শেষপর্যন্ত সাংসারিক জীবনে বিরক্ত হয়ে একটা সময় ভেবেছিলেন যে অশান্তির হাত থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়াই ভালো। সেইমতো বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েই আবার দোকানদারের প্রেমে পড়ে যাওয়া, তাতেও হয়নি রক্ষে। দোকানদারের দ্বারা প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর পুনরায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা! তবে বিষপানের পরেও আত্মীয়দের তৎপরতায় পুনরায় একবার বেঁচে ফিরলেন বাংলাদেশের পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের এক তরুণী সীমা আক্তার।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, 22 বছরের তরুণী সীমা আক্তারের চার বছর পূর্বে শহীদুল্লা নামের এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ হয়। পরবর্তীকালে তাদের একটি পুত্র সন্তানও হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এরপর থেকেই তাদের সংসারে লেগে থাকত নিত্য ঝগড়া। এইজন্যই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় সীমা আর সেই মতই এলাকায় একটি সারের দোকানে বিষ কিনতে গেলে এরপর কাহিনীতে আগমন ঘটে তৃতীয় ব্যক্তির! দোকানদার সেইসময় বুঝতে পেরে যায় তরুণীটির মনোইচ্ছা এবং পরবর্তীতে কোনমতে তাঁকে আত্মহত্যার পথ থেকে বাঁচিয়ে নেয় যুবকটি। এরপর আবার দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক এতটাই গভীর হয়ে ওঠে যে, স্বামীকে ডিভোর্স পর্যন্ত দিয়ে দেন সীমা।

এরপর কাহিনীতে আসে টুইস্ট! সীমার অভিযোগ অনুযায়ী, একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ের প্রতিশ্রুতি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয় যুবকটি। এর পরেই যুবকটির বাড়ির সামনে অনশনে বসে তাঁকে বিয়ে করার দাবি জানায় সে কিন্তু তাতেও ভেজেনি চিড়ে। শেষ পর্যন্ত যুবক এবং তার পরিবারের দ্বারা বিয়ের সম্মতি না পাওয়ায় সাতপাঁচ না ভেবে পুনরায় বিষ খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সীমা। কিন্তু এরপর বিষ খেলেও শেষ পর্যন্ত আত্মীয়দের তৎপরতায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বর্তমানে তিনি সুস্থ অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

যদিও মির্জাগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে যে, তারা এই বিষয়ে আপাতত কোনো রকম অভিযোগ পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে যুবকটির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছে তারা।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর