আট ভাইবোনের সংসারে বাবাই ছিলেন একমাত্র অবলম্বন, খাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও পাননি, বললেন চঞ্চল চৌধুরী

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: যিনি কলকাতার ‘হাওয়া’ এক নিমেষে বদলে দিয়েছেন, সেই মানুষটার নাম চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury)। বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতাকে নতুন ভাবে চিনেছেন এপার বাংলার মানুষ। বাংলাদেশের একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীরা টলিউডে কাজ করছেন, পেয়েছেন জনপ্রিয়তাও। সেই তালিকাতেই যুক্ত হল চঞ্চল চৌধুরীর নাম, যাঁর অভিনীত ছবি এ বছর অস্কারে বাংলাদেশের অফিশিয়াল এনট্রিও বটে।

সম্প্রতি কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল চতুর্থ বা‌ংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। সেখানে অন‍্যতম আকর্ষণ ছিল ‘হাওয়া’। ছবিটি দেখতে প্রথম দিন থেকেই নন্দন চত্বরে উপচে পড়েছিল ভিড়। কলকাতায় এসেছিলেন চঞ্চল চৌধুরী নিজেও। তাঁর অভিনয় দেখে কখনো মুগ্ধ হয়েছে দর্শক, কখনো শিউড়ে উঠেছে। কিন্তু অভিনেতার কথায়, অভিনয় তিনি করেন না। কথাবার্তা, চালচলনের মধ‍্যে দিয়ে চরিত্রটাই হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন।

‘হাওয়া’ ছবিতে তিনি রয়েছেন চান মাঝির চরিত্রে। চঞ্চল চৌধুরী জানান, পাবনার কামারহাট গ্রামে তাঁর আদি বাড়ি। সেখান থেকে পদ্মা নদী কাছেই। তাই ছোট থেকেই মাঝি মাল্লাদের জীবনযাত্রা দেখেই বড় হয়েছেন। চান মাঝির চরিত্রে পড়েছে তার ছাপ।

অথচ অভিনয় কোনোদিন করবেন বলে নাকি ভাবেনইনি চঞ্চল চৌধুরী। আট ভাইবোনের সংসারে রোজগার বলতে ছিল প্রাইমারি স্কুলের প্রধানশিক্ষক বাবার পারিশ্রমিক। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় থিয়েটারের মঞ্চে। তাও প্রথমটা ছিলেন মঞ্চের পেছনের মানুষ। কবে যে মঞ্চের উপরে চলে এলেন আর অভিনয়টাকে এতটা ভালবেসে ফেললেন তা নিজেও জানেন না তিনি।

টলিউডের ছবি ‘মনের মানুষ’এ অভিনয় করলেও এপার বাংলার মানুষ চঞ্চলের অভিনয় দক্ষতার সঙ্গে পরিচিত হয় বাংলাদেশি ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’ এর দৌলতে। আর ‘হাওয়া’ সেই উন্মাদনার পালেই আরো হাওয়া দিয়েছে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে কলকাতায় এসেছেন চঞ্চল চৌধুরী। সংবাদ মাধ‍্যমের তরফে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, কী খাওয়াদাওয়া হল এখানে এসে? তাঁর অকপট উত্তর, যখন খাওয়ার ইচ্ছে ছিল তখন বেশি খাবার পাননি। দারিদ্র, সামর্থের অভাবে। এখন বয়স বাড়ায় অনেক সময় ইচ্ছা থাকলেও খাওয়া হয় না। তবে চঞ্চল চৌধুরীর কথায়, তিনি মাছে ভাতে বাঙালি। কলকাতায় এসে বাঙালি খাবারই খেয়েছেন।

X