বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশি অভিনেত্রীর খণ্ডিত লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত অভিনেত্রীর নাম রাইমা ইসলাম শিমু (raima islam shimu)। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের কেরানীগঞ্জের হজরতপুর সেতুর পাশে দুটি সন্দেহজনক বস্তা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। সেই বস্তা খুলতেই উদ্ধার হয় অভিনেত্রীর খণ্ডিত দেহ। সেদিন গভীর রাতে দেহ শণাক্ত করে পরিবারের সদসরা।
ঢালিউডের বেশ পরিচিত মুখ রাইমা ইসলাম শিমু। বেশ কিছু ছবি ও নাটকে কাজ করেছেন তিনি। ঢাকার গ্রিনরোডে থাকতেন শিমু। সঙ্গে থাকতেন তাঁর স্বামী ও দুই সন্তান। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই অভিনেত্রী নিখোঁজ ছিলেন বলে খবর। এদিন সকালে শুটিংয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোন তিনি।
তাঁকে কয়েক বার ফোনও করেছিল সন্তানেরা। কিন্তু পাওয়া যায়নি শিমুকে। সন্দেহ দানা বাঁধে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও অভিনেত্রী বাড়ি না ফেরায়। বাধ্য হয়ে রবিবার রাতে স্থানীয় থানায় জেনারেল ডায়েরি করে শিমুর স্বামী সন্তানরা। পুলিস তদন্তে নামার পরেই সোমবার দুপুরে উদ্ধার হয় অভিনেত্রীর বস্তাবন্দি দেহ। দুটি বস্তায় তাঁর দেহ দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় ছিল।
পুলিসের অনুমান, অন্য কোথাও খুন করার পর কেরানীগঞ্জে দেহ এনে ফেলা হয়েছে। পরিকল্পনার পরেই খুন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যে ধারালো অস্ত্রটি দিয়ে শিমুকে খুন করা হয়েছে তা এখনো পাওয়া যায়নি বলে খবর। এই ঘটনায় দুজন ব্যক্তির দিকে সন্দেহের তীর যাচ্ছে। ঢাকার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিদায়ী কমিটির সাধারন সম্পাদক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে অভিনেত্রীর সতীর্থরা।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আসন্ন নির্বাচনে আরো ১৮৪ জনের সঙ্গে জায়েদ খানের কমিটাতে সদস্য পদ স্থগিত রাখা হয়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন শিমু। ঘটনাটা নিয়ে তীব্র বাদানুবাদ হয়েছিল, যার জেরেই এই খুন বলে দাবি অভিনেত্রীর সহকর্মীদের। যদিও বিষয়টা অস্বীকার করেছেন জায়েদ খান।
জায়েদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মৃত অভিনেত্রীর বোনও। তাঁর অভিযোগ, শিমুর স্ত্রী নোবেলই যুক্ত রয়েছেন এই খুনের সঙ্গে। সোমবার রাতে তাঁকে আটক করেছে পুলিস। আপাতত চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।