বাংলাহান্ট ডেস্ক : গাজিয়াবাদে (Ghaziabad) বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে চুরি করতে থাকা চোরেদের ধরলো পুলিস। জানা যাচ্ছে, ওই চোরেরা আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা দিল্লি-এনসিআর (Delhi-NCR) এলাকায় রেল লাইনের ধারে অবস্থিত কলোনিগুলিতে প্রথমে রেকি করত। তারপর সুযোগ বুঝে বড়সড় চুরির পরিকল্পনা করত। এই চোরের দল বিগত এক মাস ধরে বাপূ ধাম, মধুবন, কবি নগর, মসূরী, লোনী এলাকায় ২০ টিরও বেশি বেশ বড় ধরনের চুরির কাণ্ড ঘটিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, এই দুষ্কৃতি দলের কাছ থেকে সোনা ও রূপার একাধিক গয়না, প্রায় ৭৫ হাজার টাকা নগদ এবং তালা ভাঙবার একাধিক যন্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিস। এছাড়া এই দলে আরও দু’জন আছে যারা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। ওই পলাতক দুই অভিযুক্ত চুরির জিনিস কেনা বেচার কাজ করত। জেরায় পুলিস জানতে পেরেছে এই দল এক রাতেই অন্তত তিনটি বাড়িতে চুরির কাণ্ড ঘটাত বলে।
পুলিসি জেরাতে নিজেদের নামও বলেছে ওই অভিযুক্তরা। তাদের নাম মুগল শের, আফতাব, করিম এবং মুরসলীন। মুগল শেরই এই গ্যাং-এর নেতা। যাতে কেউ বুঝতে না পারে, তাই এরা খালি পায়েই হানা দিত বিভিন্ন বাড়িতে। পুলিস আরও জানতে পেরেছে, রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে এরা।
অন্যদুই পলাতক অপরাধী ফিরোজ এবং রাজারামের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। বিগত একমাস ধরে কবিনগর, মসূরী এবং লোনী এলাকায় একাধিক চুরির ঘটনায় চিন্তিত ছিল গাজিয়াবাদ প্রশাসন। একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে এদের ছবি। সেই ছবি দেখে সনাক্ত করেই এদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে দেয় পুলিস। আর তারপরই এই সাফল্য।
গাজিয়াবাদ পুলিসের তরফ থেকে জানা যায়, এই ডাকাত গ্যাং-র সর্দার মুগলশের এক কুখ্যাত অপরাধী। তার বিরুদ্ধে রাজস্থান, দিল্লি এবং গাজিয়াবাদে ৪০টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের রয়েছে। পিছিয়ে নেই বাকিরাও। আফতাবের নামে ২৫, করিমের নামে ১৯ এবং মুরসলীনের নামে মোট ১৭ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই দলের সব সদস্যই বাংলাদেশের বাসিন্দা। আপাতত দিল্লিতে থেকেই অপরাধমূলক কাজকর্ম ঘটাত তারা।