বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি শরজা থেকে কোয়েম্বাটুরে আসা এক বাংলাদেশিকে (Bangladeshi) গ্রেপ্তার করেছে অভিবাসন বিভাগীয় পুলিশ। কিন্তু কারণটা কী ছিল গ্রেপ্তার করার? কারণ আর কিছুই না, তিনি তাঁর জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে দিব্যি পাশ কাটিয়ে তো বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দপ্তরের একজন অফিসার তাঁকে জাতীয় সংগীত (National Anthem) গাইতে বলায়, হতভম্ব হয়ে যান তিনি। আর এতেই ধরা পড়ে যান অফিসারদের হাতে।
সোমবার বাংলাদেশ থেকে আসা আনওয়ার হুসেন নিজের আসল নাম ও নথি সমস্ত কিছু গোপন করে কোয়েম্বাটুরে আসেন এবং একজন ভারতীয় সেজে থাকার চেষ্টা করেন। এমনকী যখন তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি সত্যিই ভারতীয় কীনা তিনি তখন প্রমাণ স্বরূপ তাঁর সমস্ত জাল সার্টিফিকেটগুলি অভিবাসন অফিসারদের দেখান। এতটা পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল।
কিন্তু, সমস্যাটা তখন বাঁধলো যখন তাঁকে এক অফিসার হঠাৎ করে বলে বসলেন আমাদের দেশের জাতীয় সংগীত গাইতে, আর এতেই সেই যুবক এতটাই অবাক ও ভয় পেয়ে যান, যে তাঁর মুখের অভিব্যক্তি দেখেই অফিসাররা বুঝে যান যে তিনি ভারতীয় হতে পারেন না। আর তারপর থেকেই শুরু হয় তাঁর জেরা, এবং শেষ পর্যন্ত তিনি আর না থাকতে পেরে সত্যি কথা বলে দেন।
যদিও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’, তিনি তা জানেন কিন্তু ভারতের জাতীয় সংগীত যে ‘জনগণ মন’ তাঁর সেটা জানা ছিল না। তবে তাঁর কাছে জাল সার্টিফিকেট পাওয়ায় তাঁকে অফিসাররা তাঁকে কোয়েম্বাটুর এয়ারপোর্টের কাছাকাছি থানা পীলামেদু থানায় হস্তান্তরিত করা হয়। তবে কী করে এই ২৮ বছরের আনওয়ার হুসেন তাঁর পাসপোর্ট থেকে শুরু করে সব সার্টিফিকেট জাল করলেন, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।