বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমান পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে বারে বারে চর্চায় উঠে আসছে বাংলাদেশ। সে দেশের সরকার বদলের পর থেকেই একের পর এক বিতর্কের জেরে আন্তর্জাতিক মহলে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন থেকে শুরু করে প্রকাশ্যেই ইসকন এবং ভারত বিরোধী মন্তব্য করে নেট মাধ্যমে সমালোচনা এবং হাসির পাত্র হচ্ছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক তথা ধর্মীয় নেতা। আর এবার ধর্মীয় আলোচনাসভায় অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানার (Rashmika Mandanna) প্রসঙ্গ তুলে তীব্র ট্রোলের মুখে পড়লেন বাংলাদেশি ধর্মগুরু।
রশ্মিকার (Rashmika Mandanna) প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলাদেশি ধর্মগুরু
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত মুফতি আমির হামজাকে ভিডিওতে রশ্মিকার (Rashmika Mandanna) সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামের প্রচার করে থাকেন মুফতি। এমনি এক মেহফিলে ধর্মীয় আলোচনার মাঝেই তাঁর মুখে উঠে আসে রশ্মিকার নাম।
কী বলেছেন তিনি: ভাইরাল ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘বর্তমানে বিশ্বে যত সুন্দর মানুষ আছে, ২৫৭ রাষ্ট্রের মধ্যে চেহারার কাটিংয়ে রশ্মিকা মন্দানা (Rashmika Mandanna) এক নম্বরে রয়েছেন। এরপরেই তিনি বলেন, নাম শুনেছেন? চেহারার কাটিংয়ে এখন এক নম্বরে আছেন। ওই মহিলার দিকে একটু আল্লাহর নাম নিয়ে তাকাবেন। দেখেন তো কী সুন্দর করে আল্লাহ তাঁকে বানিয়েছেন।’
আরো পড়ুন : দিলজিতের শোতে মদ-মাদক-লভ জিহাদের অভিযোগ! ‘কারোর বাপের নয় হিন্দুস্তান’, মঞ্চ থেকেই হুঙ্কার দিলজিতের
ট্রোলড হতেই পালটা বিবৃতি: আমির হামজার ভিডিওটি ভাইরাল হতেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন ধর্মীয়গুরু। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে মুখ খোলেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, ফ্যাসিস্টের কারাগারে থাকার সময়ে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। মানসিক এবং শারীরিক ভাবে তিনি অসুস্থ। নিজের অজান্তেই তাই অসংলগ্ন কথা বলে ফেলছেন। আচার আচরণ নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকছে না তাঁর।
আরো পড়ুন : বলিউডে বিগ বাজেট ‘রামায়ণ’, রণবীরের আগে এই অভিনেতারা ধরা দিয়েছেন শ্রীরামের ভূমিকায়, একটি নামে রয়েছে চমক!
ওই ধর্মীয়গুরু আরো লেখেন, তাঁর যে বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেখানে শুধুমাত্র নায়িকার নাম নেওয়াটাই তাঁর ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। তবে বাকি আলোচনাটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশি ধর্মগুরু। এরপর তিনি প্রকাশ্যেই বলেন, জামাত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আবেদন করলে তাঁর তো কিছু করার থাকে না। একই সঙ্গে রশ্মিকার (Rashmika Mandanna) নাম নেওয়ার জন্যও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন ওই ধর্মগুরু।