বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার ছিল হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)। গোটা দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যেও সাড়ম্বরে পালিত হল হনুমান জয়ন্তীর উৎসব। সকাল থেকে পথে নামে বিজেপি (BJP)। এদিন উত্তর কলকাতায় হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। যেখানে অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কলকাতার নেতৃত্বরা। আর সেই শোভাযাত্রা থেকেই উঠে এল সম্প্রীতির ছবি। যা ধরা পড়ল বাংলাহান্টের ক্যামেরায় (Banglahunt Exclusive)।
হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে শোভাযাত্রায় যেমন দেখা মিলল হিন্দুদের, তেমনই চোখে পড়ল সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপস্থিতিও। এর আগে রামনবমীতেও দেখা গিয়েছিল তাদের। এবার হনুমান জয়ন্তীর দিনেও হিন্দু ‘ভাইদের’ সঙ্গে পা মেলালেন তারা। তাদের সাথে কথা বললেন আমাদের সাংবাদিক। উত্তপ্ত বাংলায় সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে ঠিক কী বললেন তারা?
তাদের মধ্যে উপস্থিত করিম খান বলেন, ‘আমরা হিন্দু-মুসলিম সবাই ভাই ভাই। কিছু মানুষ রয়েছে যারা দাঙ্গা করার চেষ্টা করছে। কিছু বাংলাদেশি আছেন, এখানে কিছু মানুষ আছেন যারা রামের পতাকা খোলাচ্ছে। এখানে বাসের মধ্যে থেকে জোর করে ভগবানের পতাকা খোলানো হচ্ছে। এই পতাকাই যদি কোনো মুসলিমের হত তাহলে জায়গায় জায়গায় আগুন লাগিয়ে দিত সবাই মিলে। ওই হিন্দুভাই কিচ্ছু বলেনি।’ (Banglahunt Exclusive)
অন্য ধর্মের পতাকা খুলে ফেলাই কী ইসলামের কাজ? বাংলাহান্ট এই প্রশ্ন করতেই বিস্ফোরণ ঘটান ওই ব্যক্তি। ক্যামেরার সামনেই বলেন, ‘যারা এই কাজ করেছে তারা মুসলিম না। ওরা আতঙ্কবাদী।’ পাশ থেকে আরেকজন বলেন, ‘ওই মুসলিমরা দাঙ্গা করাতে এসেছিল। ওরা ভারতবাসী নয়। বাংলাদেশ থেকে ওরা এপারে এসেছিল।’
সংখ্যালঘু ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ আমরা সনাতন ধর্ম মানি। বিগত ১২-১৪ বছর ধরে আমরা হনুমান জয়ন্তী, রামনবমীতে সামিল হই। দিওয়ালি, কালীপুজো, দুর্গাপুজো সবেতেই আমরা যাই। সব ধর্মকে আমরা মানি।’ তাদের মধ্যে আরও একজন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর সিপিএম এর সময় যেসব রোহিঙ্গারা এখানে এসেছে, যারা বাংলাদেশি মুসলিম যারা এ রাজ্যের কালচার জানে না তাদের একটাই কাজ হিন্দু-মুসলিম লড়ানো। কিভাবে দাঙ্গা লাগিয়ে এখানের মানুষকে মারা যায় সেটাই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। আর কিছু নেতাই এদের উস্কানি দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: হটস্পট মুর্শিদাবাদ! এবার গুলিবিদ্ধ সামসের নাদার, BSF-র বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের
তাদের এক হিন্দু ‘ভাই’য়ের কথায়, ‘আমরা মুসলিমদের ইদে খেতে যাই। ওনারা আমাদের উৎসবে আসেন।’ কেন এই মুসলিমরা ওয়াকফের বিরোধীতা করছেন না? করিম খান বলেন, ‘গরিবদের জন্য ভালো করেছেন মোদীজি। ওয়াকফ বোর্ডের নামে যে লুঠপাঠ চলেছে এবার তা বন্ধ হবে। এখন যারা গরিব তারা তাদের ভালো হবে।’ (Banglahunt Exclusive)