বাংলাহান্ট ডেস্ক : রঙের উৎসবের প্রাক্কালে আশিয়ানা হ্যাপি হোমের কয়েকশো শিশুর জন্য বিনামূল্যে মেডিকেল চেকআপের আয়োজন করল বাংলাহান্ট। অনাথ শিশুদের আশ্রয়স্থল আশিয়ানা হ্যাপি হোমের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে যুক্ত আছে বাংলাহান্ট (Bangla Hunt)। স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন হোক কিংবা ভালোবেসে গালে রং ছোঁয়ানোর মত উৎসব, সবসময় ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের (Children) নিয়েই আনন্দে মেতে উঠতে চেয়েছে টিম বাংলাহান্ট।
হোমের শিশুদের পাশে দাঁড়াচ্ছে বাংলাহান্ট (Banglahunt)
তবে শুধুমাত্র আনন্দে উৎসবে যোগ দিলেই তো হল না, পাশাপাশি সব শিশুদেরই প্রয়োজন উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিচর্যার। আর সেই স্বাস্থ্য যাতে সুস্থ থাকে, শিশুদের বিকাশের ক্ষেত্রে যাতে কোন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি তাদের হতে না হয়, সেই কারণেই ২০২৫ সালের রঙের উৎসবে বাংলাহান্টের (Banglahunt) তরফে একটি বিশেষ হেল্থ ক্যাম্পের (Health Camp) আয়োজন করা হয়েছিল। প্রারম্ভিক পর্বে প্রায় ২২০ টি শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয় ১২ মার্চ।
আরোও পড়ুন : শত্রুদের আর নেই রেহাই! আকাশে আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারত, বায়ুসেনা নিচ্ছে এই বড় পদক্ষেপ
আশিয়ানা হ্যাপি হোমে আয়োজিত মেডিকেল ক্যাম্পে এদিন উপস্থিত ছিলেন ১৫ জন বিশিষ্ট চিকিৎসকদের একটি দল। এই মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের দ্বারা শিশুদের চক্ষু, দন্তসহ একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় বিশেষ পরামর্শ। শিশুদের যাবতীয় ওষুধ ও মেডিকেল ডায়গনোসিসের খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতিও মেলে বাংলাহান্টের (Bangla Hunt) তরফে।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের কে জানিয়ে রাখি যে, বাংলাহান্টের (Banglahunt) এই মহান উদ্যোগে সামিল হয়েছিল সাউথ বেঙ্গল মেড কেয়ার ও অ্যাপোলো হাসপাতাল চেন্নাই। আশিয়ানা হোমের তদারকির দায়িত্বে থাকা ডেভিড আব্রাহাম জোশেপের বিশেষ সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই মেডিকেল ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক নারায়ণ মিত্র। স্বাস্থ্য পরীক্ষার (Health Checkup) পাশাপাশি উপস্থিত শিশুদের জন্য খাবারেরও ব্যবস্থা করেছিল বাংলাহান্ট।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডেভিড আব্রাহাম জোশেপের হাতে এদিন বিশেষ সম্মানও তুলে দেওয়া হয় বাংলা হান্টের পক্ষ থেকে। এদিনের মেডিকেল ক্যাম্পে এসে বাংলা হান্টের কর্ণধার উদয়ন বিশ্বাস বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি প্রতিটি শিশুর স্বাস্থ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে একটি শিশু পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলা হান্টের (Bangla Hunt) এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
উদয়ন বিশ্বাসের কথায়, “আগামী দিনে প্রতিটি শিশুর শিক্ষা ও সুস্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ আমরা। ভবিষ্যতে শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে যা যা সাহায্যের প্রয়োজন হবে, আমরা আন্তরিকভাবে পূরণের চেষ্টা করব।” পাশাপাশি ভাষা দিবসের সময় আশিয়ানার খুদে পড়ুয়াদের জন্য কিভাবে বাংলাহান্ট সহযোগিতা করেছিল সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেন এই ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমের কর্ণধার।