বাংলাহান্ট-বেশ কিছুদিন আগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং প্রশান্ত কিশোরের উদ্যোগে চালু হয় নতুন কিছু কর্মসূচি,মূলত বিগত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২থেকে ১৮টি সিট বাংলায় পায়।
এই কাজকে আরও ত্বরান্বিত করার জন্য বিজেপি নেতৃত্ব যেমন উঠে পড়ে লেগেছে তেমনি তৃণমূল একটু জমি ছাড়তে নারাজ। বাংলায় তারা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে ‘বাংলার গর্ব মমতা’একদিকে তৃণমূলের জেলা ব্লক স্তরের নেতা-নেত্রীরা যখন বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচি নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে,
সেই সময় তাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদতিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার গর্ব নয়, বাংলার গর্ব হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, স্বামী বিবেকানন্দ, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, সুভাষ চন্দ্র বসু মতো ব্যক্তিত্বরা।
যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবসময় চেষ্টা করেছেন। বিগত ৯ বছর ধরে তৃণমূল সরকার যেভাবে বাংলায় একটু উন্নয়ন করতে পারেনি বরং দেশের মধ্যে বাংলাকে তলানীতে ঠেলে দিয়েছে তার জন্য আর বাংলার গর্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলা যায় না, বাংলার হিটলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলা যায় বলে বলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সৌমিত্র খাঁ, একবার নয় একাধিকবার তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বসিরহাট একটি পথসভাতে তিনি বলেন তৃণমূলের বুদ্ধিজীবীরা তৃণমূলের পদলেহন করে চলে, এছাড়া একাধিকবার তৃণমূলকে ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ।
তার এই বক্তব্যকে মানতে নারাজ তৃণমূল। তারা দাবি তারা বাংলার জন্য সব সময় চেষ্টা করছেন তৃনমূল সরকার। বাংলার আরো উন্নয়ন করা যেতে পারে সেই বিশয় নজর দেওয়া হয়েছে বলে দাবী তৃনমূলের। এখন দেখার বিষয় সত্যিই বাংলার গর্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচি সফল করতে পারে কিনা তৃনমূল।
এদিকেও সৌমিত্র খাঁ ও বিজেপি নেতৃত্ব কলকাতা এবং হাওড়া পৌরভোট নিয়ে তারা পথে নেমেছে। ওয়াকিবহাল মহল তারা পাড়ায় পাড়ায় মানুষের কাছে গিয়ে জনসংযোগের কাজ করছেন।
যাতে আগামী লোকসভায় তারা ক্ষমতা দখল করতে পারে। সেই দিকে নজর দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব কিন্তু তৃণমূল ও তাদের একাধিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয় আগামী পৌরসভার নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসে।