৪৯ লক্ষ টাকা ঋণ এখনও বাকি! মমতার এজেন্ট শেখ সুফিয়ানকে ঋণ খেলাপি নোটিস ব্যাঙ্কের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির আবহেই এবার ঘুম উড়লো রাজ্যের শাসকদলের আরেক নেতার। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিলেও হয়নি শোধ। এবার তৃণমূলের নন্দীগ্রামের নেতা (Nandigram TMC Leader) তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানকে (Sekh Sufian) ঋণ খেলাপি নোটিস পাঠালো ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, বিপুল পরিমান ঋণের টাকা শোধ করতে না পারায় নেতার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

কী জানা যাচ্ছে? ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, ২০১৪ সালে বাড়ি তৈরির জন্য কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নন্দীগ্রাম শাখা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন শেখ সুফিয়ান। তবে অভিযোগ, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি কিস্তির টাকা দিলেও তারপর থেকে আর কোনো টাকা জমা করেননি নেতা। বাড়ির পাশাপাশি ট্রলার কিনতেও ওই ব্যাঙ্ক থেকে ২০২০ সালে ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে নেন তিনি।

   

সেই কিস্তির একটাও টাকাও এখনও তিনি ব্যাঙ্কে জমা করেননি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে এই বিষয়ে কয়েকবার নেতার সঙ্গে আলোচনায় বসেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় এবার শেখ সুফিয়ান সহ তার ঋণের গ্যারেন্টারদের নোটিস পাঠালো ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে ঋণ বাবদ এখনও ৪৯ লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে তার।

tmc flag

এই প্রসঙ্গে কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের সেক্রেটারি অ্যাপোল আলি বলেন, “নেতার দু’টি লোন রয়েছে। একটি হাউসবিল্ডিং লোন আর একটা ব্যবসার লোন। দু’টি লোনের কিস্তি সময়মতো জমা না পড়ায় রিকভারি সেকশানে ওনার ফাইল পাঠানো হয়েছে। তবে এখনি নিলাম নোটিশ পাঠানোর কথা নয়। প্রথমে ডিফল্ট নোটিশ পাঠান হবে। তবে তারপরেও লোন পরিশোধ না করলে নিলাম নোটিশ পাঠান হবে।”

যদিও গোটা এই বিষয়ে চক্রান্ত দেখছেন শেখ সুফিয়ান। এই নিয়ে বিরোধীদের ওপর আঙ্গুল তুলে তিনি বলেন, “সবাই লোন নেয়। আমিও লোন নিয়েছি। পরিশোধ করছি। কিছু টাকা এখনও পাবে। শোধ করে দেব। এই নিয়ে খবর করার কী আছে। আমি বাড়ি করার জন্য ও ট্রলার কেনার জন্য টাকা নিয়েছি। শোধ করে এসেছি আর কিছুটা বাকি রয়েছে। এখনও এক বছর সময় আছে। এটা নিয়ে এত হৈ চৈ কিসের। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এই সব হচ্ছে। গোটাটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর