বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্য তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, দেশের ব্যাঙ্কে সঞ্চিত ডিপোজিটের পরিমাণ কমছে। অর্থাৎ, সাধারণ মানুষ এখন ব্যাঙ্কে কম টাকা জমা করছে। এমতাবস্থায়, S&P Global Rating এই পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছে। শুধু তাই নয়, এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী সময়ে ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ (Bank Loan) প্রদানের হার কমাতে হতে পারে। এদিকে, বর্তমানে দেশে ক্রমাগত বাড়ছে ব্যাঙ্কগুলির লোন গ্রোথ। এর কারণ হল, দেশে ঋণ নেওয়ার শর্ত এখনও খুব বেশি কঠোর হয়নি।
উল্লেখ্য যে, সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কে যে টাকা জমা করে, সেগুলি ব্যাঙ্ক ঋণ হিসেবে দেয় এবং সুদ থেকে মুনাফা অর্জন করে। কিন্তু ব্যাঙ্কে ডিপোজিট অর্থাৎ আমানত কমে গেলে ঋণ দিতে অসুবিধা হবে। বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির ঋণ বৃদ্ধি, মুনাফা এবং সম্পদের গুণমান শক্তিশালী থাকবে। যেটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক বৃদ্ধির প্রতিফলন। তবে, রেটিং এজেন্সি S&P Global Rating জানিয়েছে, যে তারা তাদের ঋণের বৃদ্ধি কমিয়ে দিতে বাধ্য হতে পারে। কারণ ডিপোজিট একই গতিতে বাড়ছে না।
এই প্রসঙ্গে এশিয়া-প্যাসিফিকের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ব্যাঙ্কিং আপডেটে S&P Global Rating-এর ডিরেক্টর SSEA নিকিতা আনন্দ জানিয়েছেন যে, এজেন্সি অনুমান করেছে চলতি অর্থবর্ষে ডিপোজিট বৃদ্ধি, বিশেষ করে খুচরো ডিপোজিট হ্রাস হয়ে হবে ১৬ শতাংশ থেকে ১৪ শতাংশ। আনন্দ বলেন, প্রতিটি ব্যাঙ্কে ঋণ-থেকে-ডিপোজিটের অনুপাত হ্রাস পেয়েছে। ঋণের বৃদ্ধি ডিপোজিট বৃদ্ধির চেয়ে দুই-তিন শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: এই চার দল খেলবে সেমিফাইনাল! টি20 বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভবিষ্যদ্বাণী যুবরাজের
এদিকে, নিকিতা আনন্দ S&P Global Rating-এর সাম্প্রতিক এক সেমিনারে জানিয়েছেন, “আমরা আশা করি যে ব্যাঙ্কগুলি চলতি অর্থবর্ষে তাদের ঋণ বৃদ্ধি কমিয়ে আনবে এবং এটি ডিপোজিটের বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করবে। যদি ব্যাঙ্কগুলি এটি না করে, তাহলে তাদের বাল্ক ফান্ড অ্যাক্সেস করার জন্য আরও বেশি অর্থ প্রদান করতে হবে। যা লাভকে প্রভাবিত করবে।”
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সাধারণত বেসরকারি সেক্টরের ব্যাঙ্কগুলিতে ঋণের বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গেছে। অন্যদিকে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলিতে ১২ থেকে ১৪ শতাংশের মধ্যে ক্রেডিট বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে।