ইন্দ্রানী সেন,বাঁকুড়া: “গ্রীষ্মকালে রক্ত দিলে রক্তদাতার কোন ক্ষতি হয়না, বরং রক্ত দিলে ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্তের ঘাটতি মেটানো সম্ভব। আগে অনেক সমস্যা ছিল, বর্তমানে ভল্যান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আন্দোলনের ফলে রক্তদান বিষয়ে মানুষের ভীতি অনেকটাই কাটানো গেছে। মানুষের সেবা করতে গেলে তন, মনের পাশাপাশি সাধ্যমতো ধনও দিতে হয়। আর তন ও মনের যে শরীর তার রক্তও দিতে হয়।বিজেপি প্রার্থী হিসেবে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হবার পর
শুক্রবার বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের পাশে দাঁড়াতে নিজেই রক্তদান করে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন বাঁকুড়ার হবু সাংসদ চিকিৎসক সুভাষ সরকার।
বৃহস্পতিবার রাতে ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপি প্রার্থীর কথা মতোই এক লক্ষের ও বেশি ভোটে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী তৃণমূলের ‘হেভিওয়েট’ নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ১,৭৪,৩৩৩ ভোটে পরাজিত করেন সুভাষ বাবু। জয়ের পর থেকেই দলীয় কর্মী, সমর্থক থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের মানুষের অভিননন্দের জোয়ারে ভাসছেন নব নির্বাচিত সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার।
বাঁকুড়া ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, এদিন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বেশ কিছু শিশুকে রক্ত সরবরাহের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী রয়েছে। এখান থেকেই নিয়মিতভাবে তারা রক্ত পেয়ে থাকে। ফি বছর গ্রীষ্মকালে ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের যোগান কম থাকে। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি থাকা একটা বড় অংশের রোগীদের যেমন রক্তের প্রয়োজন হয়, তেমনি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এই সব শিশুদেরও নিয়মিত রক্তের যোগান দিতে হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই সময়টাতে রক্তের সংকট তৈরী হয়। যদিও বিভিন্ন গণ সংগঠন, ক্লাব ও সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলায় ধারাবাহিকভাবে স্বেচ্ছা রক্তদান করা হলেও গ্রীষ্মকালীন রক্তের চাহিদা পূরণ করতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার বার্তা দেন তিনি।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার