বাংলা হান্ট ডেস্ক: মালদার (Malda) বামনগোলার পর এবার বাঁকুড়ার (Bankura) জয়পুর! রাস্তা কাটা থাকায় পথেই মৃত্যু হল প্রসূতির। পঞ্চায়েত সমিতির তোরণ নির্মাণের জন্য সেই রাস্তা কাটা হয়েছিল। ফলে ঘুরপথে যেতে গিয়ে পথেই মৃত্যু হল প্রসূতির।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে জয়পুরের বাসিন্দা তাপসী মণ্ডলের প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। এরপরই তাঁকে জয়পুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হাসপাতালে ঢোকার রাস্তা কাটা থাকায় তিন কিলোমিটির ঘুরিয়ে তাপসীকে আনা হয় হাসপাতালে (Hospital)। এরপরই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, রাস্তা কাটা থাকায় তিন কিলোমিটার ঘুরে নিয়ে আসাতেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদি আগে নিয়ে এসে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না।
যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েতের দাবি, এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, ওই রাস্তার উপরে একটি তোরণ করা, সেই মতোই কাজ করা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গে বিনিয়োগ করে টাটার মতো বিপাকে আদানিও? তৃণমূলের বিরোধিতায় হাতছাড়া তাজপুর বন্দর
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই মালদার বামনগোলার গোবিন্দপুর মহেশপুর অঞ্চলের মালডাঙা গ্রামের বাসিন্দা এক তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। রাস্তার বেহাল দশার জন্য সেই জায়গায় অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকতে না পারায় ওই রোগীকে খাটিয়ায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের তরফে বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার দূরের মোদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করার কথা ভাবা হয়। অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজখবর করতে থাকেন মামনির স্বামী কার্তিক। কিন্তু শত চেষ্টা করেও অ্যাম্বুল্যান্সকে ঢোকাতে না পাড়ায় খাটিয়ায় শুইয়ে দড়ি বেঁধে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সেই পথেই মৃত্যু হয় মামনির।
মৃতার পরিবারের দাবি ছিল, ওই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। বারবার সংস্কারের দাবি জানানো হলেও তা হয়নি। পথ অবরোধ, বিক্ষোভ, প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি কিছুই। তাই অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায়নি।