আমেরিকার মহাকাশ বিজ্ঞানের কর্মশালায় বাঁকুড়ার অয়ন! যাতায়াতের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এন্ড স্পেস প্রোগ্রাম ২০২৪-এ সুযোগ পেলো বাঁকুড়ার (Bankura) দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র অয়ন। আমেরিকার (United States of America) আলাবামা ইউনিভার্সিটিতে, ইউনাইটেড স্পেস অ্যান্ড রকেট সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১১ থেকে ১৫ নভেম্বর পাঁচদিন ধরে আয়োজিত এই প্রোগ্রামে এদেশ থেকে সুযোগ পেয়েছে অয়ন একাই। থাকছেন অন্যান্য দেশের প্রতিযোগীরাও। বাঁকুড়ার ছাতনার কমলপুরের বাসিন্দা অয়ন দেঘরিয়া বাঁকুড়ার এমডিভি ডিএভি পাবলিক স্কুলের ছাত্র।

প্রতিযোগিতায় তাঁর প্রজেক্ট নির্বাচিত হলে বিশ্ব ছাড়িয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে যাবে। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন বাঁকুড়ার কমলপুরের ছেলে অয়নের। তবে আমেরিকা যেতে যাতায়াতের যা খরচ তা বহন করাই যেন দুঃসাধ্য অয়নের পরিবারে। অন্যান্য খরচও তো রয়েছে। অয়ন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালীন বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংস মারা যান। ঠিক তার দুই তিন মাস আগেই সে হকিংস এবং মহাকাশের বিশালতা নিয়ে তাঁর কাজের কথা জানতে পারে। তখনই সে নিজের লক্ষ্য স্থির করে ফেলে। মহাকাশ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয় অয়নের।

   

আরোও পড়ুন : কাঞ্চনজঙ্ঘার পর ফের বিপত্তি রেলে! দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল প্যাসেঞ্জার ট্রেন

২০২৩-এর আন্তর্জাতিক কনফারেন্সকে লক্ষ্য রেখে ২০২২ সালে “স্পেস দেব্রি” নিয়ে কাজ শুরু করে সে। তবে ফর্ম ফিলআপ করতে দেরি হওয়ায় ইচ্ছে পূরণ হয়নি। এরপর ২০২৩ সালেই দেরাদুনে ইউনিভার্সিটি অফ পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এনার্জি স্টাডিস-এর জাতীয় স্পেস কনভেনশনে প্রথম স্থান অর্জন করেন বাঁকুড়ার অয়ন। এরপর গোয়ায় আয়োজিত ইসরোর বাই অ্যানুয়াল কনফারেন্স এ যাওয়ার সুযোগ পায় সে। ওই প্রজেক্টের ” অ্যাডভান্সড ভার্সন” ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রাম ২০২৪ এর বাছাই স্তরে ভারত থেকে সুযোগ পায় অয়ন দেঘরিয়া।

Untitled design 20240620 205935 0000

পৃথিবী থেকে মহাকাশে যেসব রকেট এবং কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হয় সেগুলির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে জমা হয়। এই ধ্বংসাবশেষ গুলি পৃথিবীতে ঘিরে একটি ধাতব জেইল তৈরি করেছে। একেই বলে স্পেস দেব্রি বা মহাকাশের আবর্জনা। সারা বিশ্বের পাশাপাশি এই রহস্যের সমাধানে সামিল বাঁকুড়ার অয়নও। তাঁর কাজকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরো থেকে আমেরিকার অ্যালাবামা ইউনিভার্সিটি। কিন্তু কিভাবে আমেরিকা যাবে সে? আর্থিক সঙ্গতি যে নেই। তাহলে বাঁকুড়ার ছেলের মহাকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন কি অধরাই থেকে যাবে? উঠছে প্রশ্ন।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর