বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুজোর ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন। তাও আবার দেশের বাইরে। টিকিট কাটার আগে এই জায়গার খোঁজ নিয়ে নিন। ভারতের বাইরে যেতেই হবে না। কারণ ভারতের বুকেই রয়েছে স্কটল্যান্ড। ভাবছেন গাঁজাখুড়ির গল্প বলছি। আজ্ঞে না! আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়াতেই (Bankura) পেয়ে যাবেন পুরো স্কটল্যান্ডের ভিউ। বাঁকুড়া (Bankura) জেলাতেই রয়েছে একটি ছোট্ট হ্রদ। আর সেখানেই আছে ছোট্ট একটি গ্রাম।
বাঁকুড়াতেই (Bankura) পেয়ে যাবেন পুরো স্কটল্যান্ডের ভিউ
চারিদিক সবুজে মোড়া, নীল জলরাশি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য স্কটল্যান্ডের চেয়ে কম কিছু নয়। ঘোরার জন্য একেবারে পারফেক্ট ডেস্টিনেশন। বাঁকুড়ার এই হ্রদের নাম তালবেরিয়া। আর এই হ্রদকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে ছোট্ট একটি গ্রাম। হ্রদের উপর দিয়ে নেমে এসেছে একটি বাঁধ। জানা যায়, একসময় নদীর তলদেশ ক্ষয় হতে হতে এই হ্রদের সৃষ্টি। গ্রীষ্মকালে এখানকার স্থানীয়দের জলের চাহিদা মেটাতে এই হ্রদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাঁকুড়ার (Bankura) এই তালবেরিয়া গ্রামটিই বাঁকুড়ার স্কটল্যান্ড নামে পরিচিত।
কোথায় অবস্থিত এই তালবেরিয়া:
এই গ্রামটি অবস্থিত বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া অর্থাৎ দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। পুরুলিয়ার পান্ডুবান মন্দিরটি এই হ্রদের খুব কাছাকাছি। আর দর্শনার্থীরা মন্দির দর্শন করতে আসলেই এই গ্রামে এসে ঘুরে যান। বাঁকুড়া শহর থেকে খাতড়া,রানিবাঁধ হয়ে তালবেরিয়া প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তবে আপনি যদি ঝাড়গ্রাম থেকে শিলদা, বেলপাহাড়ি হয়ে আসেন সেক্ষেত্রে এই গ্রামের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার।
আরোও পড়ুন : শুধুমাত্র এই কাজ করেই দিনে আয় ৪০-৫০ লক্ষ টাকা, অবশেষে ফাঁস ওরি রহস্য!
আর বিষ্ণুপুর থেকে শিবডাঙ্গা মোড় হয়ে আসলে দূরত্ব পড়বে ৯০কিমি। অর্থাৎ খুব একটা বেশি দূরত্ব না এই গ্রামের। আর যদি সৌন্দর্যের কথা বলতে হয়, তাহলে দেখে মনে হবে ঈশ্বর অনেক সময় নিয়ে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গড়ে তুলেছেন। মাঝখানে জলরাশি, চারিদিকে সবুজে ঘেরা যেনো গল্পের শহর। শান্ত, নিরিবিলি জায়গা, কখনো পাখির কুজন, তো আবার কখনো প্রজাপতিদের ঝাঁক আপনাকে মুগ্ধ করবে। হ্রদের উপর তৈরি বাঁধের উপর বসলে টেরই পাবেন না কখন সময় কেটে গিয়েছে।
এমনকি এখানে নৌকার ব্যবস্থাও রয়েছে। মন চাইলে নৌকা নিয়ে হ্রদেও নামতে পারেন। তবে সব থেকে ভালো লাগবে, সূর্যাস্ত এবং সূর্যাদয় সময়টা। এখানে থাকা খাওয়ার বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। তাই কোন সমস্যার মুখে পড়তে হবে না। যদি মন চায় একবার ঘুরে যেতেই পারেন বাঁকুড়ার (Bankura) এই তালবেরিয়া গ্রামে। শুধু পুজো নয় গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত যেকোনো সময়ই আসুন না কেন সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হতে বাধ্য।