বাংলাহান্ট ডেস্ক: কিছুদিন আগেই সম্প্রচারিত হয়ে গিয়েছে জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড (Sonar Songsar Award)। বিভিন্ন সিরিয়ালের বিভিন্ন বিভাগে সেরা অভিনেতা অভিনেত্রীদের এদিন সম্মানিত করা হয়েছে। এসেছিল টলিউড বলিউডের নামীদামী তারকারাও। নাচে গানে জমে উঠেছিল সন্ধ্যা। এই মঞ্চকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল প্রয়াত কিংবদন্তি সুরকার তথা গায়ক বাপ্পি লাহিড়ীকে (Bappi Lahiri) শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।
সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ডের বিশিষ্ট অতিথি ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী (Bappa Lahiri)। বলিউডের নামী গায়ক জাভেদ আলি এসেছিলেন পারফর্ম করার জন্য। তিনি প্রথমে প্রয়াত সুরকারের গাওয়া গান গেয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারপর তাঁর অনু্রোধে মঞ্চে উঠে আসেন।
‘কভি আলবিদা না কহেনা’ গানটি গেয়ে বাবার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান বাপ্পা। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন জাভেদ আলিও। দর্শকাসনে তখন অনেকেই উঠে দাঁড়িয়েছেন, হাত নাড়াচ্ছেন। উল্লেখ্য, শুধু বাপ্পি লাহিড়ী না। সুরসম্রাজ্ঞী প্রয়াত লতা মঙ্গেশকর ও গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কেও এদিন গানে গানে শ্রদ্ধা জানান মোনালি ঠাকুর।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন বাপ্পি লাহিড়ী। মুম্বইতে বাস হলেও আদ্যোপান্ত বাঙালি ছিলেন অলোকেশ লাহিড়ী ওরফে বাপ্পি লাহিড়ী। তাই মৃত্যুর পর ফের নিজের প্রাণের কলকাতার কাছেই ফিরতে চেয়েছিলেন। বাপ্পিদার ইচ্ছা ছিল, পারিবারিক প্রথা মেনে তাঁর অস্থিও বিসর্জন করা হোক গঙ্গাতেই। বাবার শেষ ইচ্ছা ভোলেননি ছেলে।
মুম্বইতে শেষকৃত্য, স্মরণসভা হলেও বাবার অস্থি নিয়ে সোজা কলকাতা উড়ে আসেন তিনি। আউট্রাম ঘাটে গঙ্গার জলে বিলীন হয়ে গিয়েছেন বাংলার ছেলে বাপ্পি লাহিড়ী। ছেলে বাপ্পা জানান, তাঁদের পরিবারের প্রথা এটা।
তাঁর ঠাকুরদা ঠাকুমার শেষকৃত্যও হয়েছিল কলকাতাতেই। বাঙালি হিসাবে তাঁরা সকলেই গর্বিত। তাই বাপ্পি লাহিড়ীরও ইচ্ছা ছিল গঙ্গাবক্ষেই তাঁর অস্থি ভাসানো হোক। বাপ্পা জানান, বাবাকে ছাড়া এই প্রথম বার কলকাতায় এলেন তিনি।