বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাপ্পি লাহিড়ী (Bappi Lahiri), ‘ডিস্কো কিং’, ‘গোল্ডেন ম্যান’ একাধিক উপাধিতে ভূষিত ছিলেন মানুষটা। ছোটখাট মানুষটা ক্ষমতা ছিল নিজের সুরের জাদুতে আট থেকে আশিকে নাচানো। কয়েক মাস আগে পর্যন্তও গান বানিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী। ভাইরাল হয়েছে সেই গান। সেই মানুষটাই হঠাৎ করে নেই হয়ে গেলেন। এখনো যেন খবরটা বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন অনেকেই।
চোখে সানগ্লাস, গলায় একাধিক সোনার চেন আর হাতের প্রায় প্রতিটি আঙুলে সোনার আংটি এমনি সাজে দেখা মিলত বাপ্পি লাহিড়ীর। তাঁর ভিন্ন স্টাইল চর্চার বিষয় ছিল বিনোদুনিয়ায়। কখনোই সোনার চেন ছাড়া জনসমক্ষে আসতেন না বাপ্পি লাহিড়ী। এমনকি তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, তাঁকে সোনা ছাড়া দেখলে সকলেই নাকি বলতেন কেমন বেমানান লাগছে।
সোনার প্রতি বিশেষ ভাললাগা ছিল বাপ্পি লাহিড়ীর। শুধু সোনার গয়না নয়, সোনার কাপ প্লেটও কিনেছিলেন তিনি শখ করে? কিন্তু এই শখের সূত্রপাত হয় কীভাবে? আসলে সোনাকে নিজের জন্য ‘পয়া’ বলে মনে করতেন গায়ক সুরকার। তিনি যখন ‘জখমি’ ছবির জন্য রেকর্ড করছিলেন, তখন তাঁর মা ঈশ্বরের নাম লেখা একটি সোনার লকেট দিয়েছিলেন ছেলেকে।
বাপ্পিদা একবার বলেছিলেন, “যখন আমার বিয়ে হয়, আমার স্ত্রী বলেন যে সোনা খুব পয়া। আমার বিবাহিত জীবনের সঙ্গে সঙ্গে সোনার চেনের সাইজও বড় হতে লাগল। তবে আমার গলায় পরা সোনার গণপতি আমাকে রক্ষা করেন।” গায়ক আরো বলেছিলেন, তাঁর স্টাইলটা একটা আইকন স্বরূপ হয়ে উঠেছে। কেউ এখন সোনার চেন পরলেই বলা হয়, সে বাপ্পিদাকে নকল করছে।
তবে নিজের এই স্টাইলের জন্য ট্রোলও কম হতে হয়নি গায়ক সুরকারকে। পুরনো যুগের বলিউড অভিনেতা রাজকুমার একবার একটি অনুষ্ঠানে কটাক্ষ করেছেন বাপ্পি লাহিড়ীকে। তিনি নাকি বলেছিলেন, এত গয়না পরেছেন তিনি। শুধু একটা মঙ্গলসূত্রই বাকি রয়ে গিয়েছে। কিন্তু কান দেননি বাপ্পি লাহিড়ী। গানের সঙ্গে সঙ্গে সোনাও তাঁর জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল।