হাইকোর্টের আইনজীবীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠাল পুলিশ! প্রতিবাদে কর্মবিরতি আইনজীবীদের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যারা ন্যায়ের পথে, ন্যায় দিতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেন, এবার আক্রান্ত তারাই। বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এক আইনজীবিকে (Lawyer) হেনস্থার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। মারধরের পাশাপাশি মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে রীতিমতো তোলপাড় হাইকোর্ট। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত নেপালগঞ্জ আউটপোস্টে।

হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আইনজীবীর উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ

এদিন আইনজীবীকে পুলিশি মারধরের পর ধর্মঘটে নেমেছে কলকাতা হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। পুলিশ কর্মীদের দ্বারা আইনজীবীকে আক্রমণের পর বিচারব্যবস্থার সমস্ত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। আর এই কর্মবিরতির কঠোর পদক্ষেপের পরই তড়িঘড়ি ওই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে শোকজ করল ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। হাইকোর্ট সূত্রে খবর অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টরের নাম সুদীপ্ত সান্যাল।

   

অভিযোগ রবিবার কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সৌরভ মণ্ডল তার একজন মক্কেলের একটি কাজের জন্য নেপালগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই তাকে হেনস্থা করেন একজন পুলিশকর্মী। এমনকী ফাঁড়ির ভিতরেই মারধর পর্যন্ত করা হয়। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি ওই আইনজীবীকে মিথ্যে মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মারধরের চোটে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় আইনজীবীকে।

এই ঘটনার পরই হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সৌরভ। পাশাপাশি আইনজীবী উচ্চ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তার অভিযোগের সাথেই প্রাসঙ্গিক মেডিক্যাল নথিও সংযুক্ত করেছেন তিনি। এই গোটা ঘটনায় নেপালগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন হাইকোর্টের আইনজীবী।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: মঞ্চে অভিষেক তার নাম নিতেই একি! জেলে বসেই বিরাট কাণ্ড ঘটালেন পার্থ-বালু, তোলপাড়

সমস্ত প্রমাণ দেখার পর এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে এদিন কর্মবিরতির ডাক দেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আইনজীবীরা। এরই মাঝে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে শোকজ করে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ সুপার। তবে এভাবে আইনজীবীর উপর পুলিশি আক্রমণের ঘটনায় উঠেছে নিন্দার ঝড়।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর