বাংলা হান্ট ডেস্ক : ওবামার সময়কাল থেকেই ভারতের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছিল ভারত। সেই সময় তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন। আজ সেই বাইডেন (Joe Biden) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (President of America)। তাঁর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা গেছেন নরেন্দ্র মোদি। আর এরই মাঝে ভারতে ‘ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা’ নিয়ে সরব হলেন ওবামা (Barak Obama)।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ওবামা খুব সুচারু ভাবে মণিপুরের কথা বলতে চেয়েছেন। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের দাঙ্গা প্রশ্নে অবশ্য মোদীর নীরবতা নিয়ে দেশের মধ্যে তীব্র সমালোচনা করছেন বিরোধীরা। আবার বাইডেনকে ৭৫ জন ডেমোক্র্যাট নেতা চিঠি দিয়েছেন মোদীর সঙ্গে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে। ওবামার ইঙ্গিতও সে দিকেই।। তাঁর আমন্ত্রণেই রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা গেছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর এরই মাঝে ভারতে ‘ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা’ নিয়ে সরব হলেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ওবামা (Barac Obama)।
এক সাক্ষাৎকারে ভারত নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা। তিনি বলেন, ‘যদি ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য জাতিদের মানবাধিকার রক্ষা না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ভারত ভাগ হয়ে যেতে পারে।’ পাশাপাশি ওবামার আরও মত, বাইডেন প্রশাসনের উচিত ভারত সরকারের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের অধিকারের ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা।
ওবামা আরও বলেন, ‘যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন, তাহলে ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘুদের অবস্থানের বিষয়টি উত্থাপিত করা উচিত তাঁর। আমি মোদিকে নিজে চিনি। আমি যদি এই পরিস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতাম তাহলে আমি তাঁকে বলতাম, আপনি যদি সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা না করেন, তাহলে ভারতের টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।’
ডেমোক্র্যাটিক দলের ভিতরে বাইডেনের অন্যতম বড় সমর্থক হলেন ওবামা। এর আগে ৭৫ জন ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতা বাইডেনকে চিঠি লিখেছিলেন। ভারতের সংখ্যালঘুদের বিষয়টি মোদির সামনে উত্থাপিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। তবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারতকে গণতন্ত্র নিয়ে ‘জ্ঞান’ দেবে না বাইডেন।
বাইডেনের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে ভারতের পক্ষ থেকে দাভ ‘গণতন্ত্র আমাদের চেতনায়, আমাদের শিরায়। আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। আমাদের সরকার সংবিধান মেনে কাজ করে। বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, বয়সের ভিত্তিতে কোনও বৈষম্য ভারতে। ভারত গণতন্ত্রের শ্বাস নেয় তাই বৈষম্যের প্রশ্নই আসে না।’
মোদি এক সময় যাঁকে ‘মাই ফ্রেন্ড’ বলেছিলেন, সেই ওবামার দাবি, ‘আমার যুক্তি হলো, ভারতে যদি এথনিক মাইনরিটিদের রক্ষা করা না হয়, তা হলে সে দেশ ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে। অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ যদি বিরাট আকার ধারণ করে, তা হলে কী হতে পারে, তা আমরা দেখছি।’
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ওবামা খুব সুচারু ভাবে মণিপুরের কথা বলতে চেয়েছেন। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের দাঙ্গা প্রশ্নে অবশ্য মোদীর নীরবতা নিয়ে দেশের মধ্যে তীব্র সমালোচনা করছেন বিরোধীরা। আবার বাইডেনকে ৭৫ জন ডেমোক্র্যাট নেতা চিঠি দিয়েছেন মোদির সঙ্গে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে।