বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটে টিকিট পাওয়ার আশা করেছিলেন। তবে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sayantika Banerjee) দাঁড় করায়নি তৃণমূল। যা নিয়ে খানিক ‘অভিমান’ হয়েছিল যুব নেত্রীর। তবে এখন সেসব অতীত। লোকসভার টিকিট না পাওয়ার কথা ভুলে এখন উপনির্বাচনের লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন সায়ন্তিকা। তাপস রায়ের ছেড়ে যাওয়া বিধানসভা আসন বরানগরে (Baranagar) তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল শিবির।
আগামী ১ জুন বরানগরে উপনির্বাচন (Baranagar By Election) হতে চলেছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছিলেন তাপস রায়। এরপর থেকে ফাঁকাই রয়েছে এই আসন। এবার সেই বরানগর কেন্দ্রে বিধায়ক হওয়ার লড়াইয়ে নামতে চলেছেন সায়ন্তিকা। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড় করানো হয়েছে দাপুটে নেতা সজল ঘোষকে। বিপক্ষে একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিক থাকলেও নিজের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলের (TMC) যুব নেত্রী।
সম্প্রতি এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে সায়ন্তিকা প্রথমেই ‘কান্নাকাটি করে প্রার্থী হওয়া’ বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেন। বরানগরের তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী বলেন, ‘আমি কান্নাকাটি করিনি। আমি আমার অনুভূতি প্রকাশ করেছিলাম। আমি নিজের অনুভূতি এই কারণে প্রকাশ করেছি যাতে সেটা আগামীদিনে ক্ষোভে না পরিণত হয়। আর আমি কান্নাকাটি করে বিজেপি যাওয়ার কথা বলিনি। কিংবা তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দলের সঙ্গে বিরোধিতা করিনি। আমি যে লক্ষ্য রেখে এগোচ্ছিলাম, সেটার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছি। সেটা না পাওয়ার বা না করতে পারার একটা খারাপ লাগা ছিল। আর কান্নাকাটি করলে দল আমায় বরানগরের মতো আসনে প্রার্থী করবে না।
আরও পড়ুনঃ ‘ডেপো ছোকরা, ৬ গোল খেয়ে বাড়ি যাবে’! দেবাংশুর ‘খেলা হবে’র পাল্টা যা দিলেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি…
সায়ন্তিকা বলেন, ‘বরানগর অত্যন্ত ঐতিহ্যশালী একটি আসন…। শুধু কান্নাকাটি করেছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কাউকে এই আসন থেকে দাঁড় করাবেন না। হয়তো ওনার কোথাও না কোথাও মনে হয়েছে আমার মধ্যে সেই ক্ষমতা রয়েছে, ৩ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি এখানে নিজেকে মিলিয়ে নিতে পারব, সেই জন্যই উনি আমায় টিকিট দিয়েছেন’।
বরানগর কেন্দ্র থেকে একদা বিধায়ক হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। সেই আসনেই এবার দাঁড়াচ্ছেন সায়ন্তিকা। কোথাও গিয়ে কি বাড়তি চাপ অনুভব করছেন? উত্তরে তৃণমূল প্রার্থী স্বীকার করে নেন, বরানগর কেন্দ্রের একটা রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে। জ্যোতি বসুর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখান থেকে জিতেছেন। এরপরেই সায়ন্তিকা বলেন, ‘বিগত ৩ বার আমাদের দলের প্রার্থী এই কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। তাই আমার দায়িত্ব বেড়ে গেল। এবার বরানগরবাসী প্রথম মহিলা বিধায়ক পেতে চলেছেন’।
জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী কিনা জিজ্ঞেস করায় সায়ন্তিকা বলেন, ‘অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী…। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নটাই ফ্যাক্টর। সাধারণ মানুষ এখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করছেন। তাই এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়’।
সাক্ষাৎকারে কথার সূত্রে বরানগরের সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক তাপস রায়ের প্রসঙ্গও উঠে আসে। প্রবীণ এই রাজনীতিকের পরিবর্ত কে হবে? সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি সজল ঘোষ? প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল প্রার্থী স্পষ্ট বলেন, ‘মানুষ এখানে বিকল্প বাছবে না, বরং মানুষ এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নির্বাচন করবেন’।