বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার এদেশের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সঙ্গেই পশ্চিমবঙ্গের দু’টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলও ঘোষিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল বরানগর। তাপস রায়ের ছেড়ে যাওয়া এই কেন্দ্রে ফের জোড়াফুল (Trinamool Congress) ফুটিয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হতেই দমদম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই বিধানসভায় দেখা গেল ‘হিংসা’র ছবি।
বরানগরে (Baranagar) পুরসভার ৩১ নং ওয়ার্ডের কুটিঘাট অঞ্চলে একটি CPIM পার্টি অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। আঙুল তোলা হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। CPIM কর্মী সমর্থকদের দাবি, TMC-র তরফ থেকেই তাঁদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সেখানে থাকা আসবাবপত্র থেকে শুরু করে টিভি, সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
সেই সঙ্গেই বামপন্থী আন্দোলনের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর (Jyoti Basu) ছবি সহ কাটআউটও ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন CPIM কর্মী সমর্থকরা। TMC-র তরফ থেকে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। যদিও তৃণমূলের কাউন্সিলর এই অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেন, বরানগর উপনির্বাচনে তন্ময় ভট্টাচার্য পরাজিত হওয়ায় CPIM-এর কর্মী সমর্থকরাই দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এবার খোদ বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা! বিপাকে জাস্টিস অমৃতা সিনহা? তোলপাড় রাজ্য!
CPIM কর্মী সমর্থকদের দাবি, মঙ্গলবার বরানগর উপনির্বাচনের ফলাফল যখন শাসক দলের দিকে যাচ্ছিল, সেই সময়ই তাঁরা পার্টি অফিস বন্ধ করে চলে যান। এরপরেই সেখানে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। যদিও TMC শিবিরের তরফ থেকে পাল্টা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
এদিকে বরানগর উপনির্বাচনের দিন BJP প্রার্থী সজল ঘোষের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর এবং গেরুয়া শিবিরের এক কর্মীর মাথা ফাটানোর ঘটনায় পুলিশের তরফ থেকে TMC-র শ্রমিক সংগঠনের নেতা সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, BJP কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ৮ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন সহ জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর করেছে পুলিশ।