বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এই সপ্তাহেই বাংলায় আসতে চলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বর্তমানে বাংলায় একের পর এক সন্ত্রাস মূলক ঘটনা ঘটে চলেছে আর তার মাঝেই অমিত শাহের আগমন বিজেপির একটি সুনির্দিষ্ট কৌশল হিসেবেই দেখছেন রাজনীতিবিদরা। তবে ভবিষ্যতে সেই ফায়দা কতখানি তুলতে পারে বিজেপি দল, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
যেভাবে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক বিজেপি নেতারা মুখ খুলে চলেছেন, তাতে দলের পরিস্থিতি ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে আর এবার তাদের সেই চিন্তা আরও বাড়িয়ে বিজেপি বারাসাত সাংগঠনিক জেলার 15 জন সদস্য ইস্তফা দিয়ে বসলেন। অপরদিকে আবার অনুমতি ছাড়াই রাজ্য কমিটিতে নাম নথিভুক্ত করার জন্য দলের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ জাহির করলেন সংগীতশিল্পী তথা বিজেপি নেত্রী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা ভোটে বিজেপির পরাজয়ের পর থেকেই একাধিক নেতা বিজেপি ছেড়ে শাসক দলে যোগদান করেন। মুকুল রায়, রাজীব ব্যানার্জি থেকে শুরু করে বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতাদের দল ছাড়ার ফলে বাংলায় ক্রমাগতই দুর্বল হয়ে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে সম্প্রতি বাংলায় একের পর এক হিংসার ঘটনাকে হাতিয়ার করে তারা এবং এই সপ্তাহে অমিত শাহের আগমন তাদের সেই কৌশলেরই এক অঙ্গ বলে মনে করা হয়। কিন্তু এই কৌশল মাঝে বর্তমানে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে অর্জুন সিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিজেপি নেতারা যে ভাবে সুর চড়িয়েছেন, তাতে বেশ বেকায়দায় পড়েছে দল। আর তার মাঝেই এদিন বারাসাতের বিজেপিতে ভাঙনের ছবি ধরা পড়লো।
বারাসাতে এদিন আশিস মজুমদার, প্রতাপ চট্টোপাধ্যায় সজল দাস এবং চিত্ত বসাক সহ 15 জন বিজেপি সদস্য ইস্তফা দিলেন। জেলা সভাপতি তাপস মিত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণও করতে দেখা যায় তাদের। তাঁরা ইস্তফাপত্রে লেখে, “তাপস মিত্র যেভাবে বারাসাতের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত এবং পুরনো সদস্যদের দলীয় কর্মসূচি থেকে দূরে রেখে চলেছেন, তা কখনই কাম্য নয়। দীর্ঘ সময় ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের উপযুক্ত সম্মান এবং দলে স্থান না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে যোগ্যতাহীন ব্যক্তিদের যেভাবে ভোটের টিকিট দিয়ে চলেছেন, তার জন্যই পুরভোটে 110 টি সিটের মধ্যে আমরা একটিতেও জিততে পারিনি। এর প্রতিবাদ স্বরূপ আমরা আজ পদত্যাগ করলাম।”
এ প্রসঙ্গে অবশ্য তাপস মিত্র কোন রকম মন্তব্য করতে রাজি হননি। অপরদিকে আবার বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সূত্রের খবর, তাঁর কাছে কোনো রকম অনুমতি না নিয়েই রাজ্য কমিটিতে স্থান দেওয়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঋদ্ধি। এদিন তিনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবং সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।