বারাসাতে টিউশন দেওয়ার নামে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে গ্রেফতার গৃহশিক্ষক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বারাসাতে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর ধর্ষণ করার ঘটনায় রাজনৈতিক পারদ চড়েছে। ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি হওয়ায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে জোর চাপানউতোর। গ্রেফতার হওয়ার গৃহশিক্ষককে বিজেপির কর্মী বলে দাবি করেছে তৃণমূল। আরেকদিকে বিজেপির তরফ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, আমাদের সাথে ওঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না। যদিও গ্রেফতার হওয়া গৃহশিক্ষকের স্ত্রী বলেছিলেন যে, আমার স্বামী বিজেপি করে বলে ওনাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করে বলা হয় যে, তৃণমূলের চোখ রাঙানি আর প্রলোভনের জেরে ধর্ষকের স্ত্রী বিজেপির নামে দোষ দিচ্ছে। ধর্ষকের সাথে আমাদের কস্মিনকালে কোনও সম্পর্ক ছিল না। বিজেপির জেলা সভাপতি শঙ্কর চ্যাটার্জী বলেন, আমরা চাই নিরপেক্ষ তদন্ত হোক, আর ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি হোক। আমরা নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছি।

যদিও বিজেপির দাবি উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের নেতা মিলন সরদার বলেন, ফেঁসে যাওয়ার পর বিজেপি এখন কালপ্রিটের সাথে দূরত্ব তৈরি করছে। তৃণমূল নেতা বলেন, ধৃতের স্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্বীকার করেছেন যে, তাঁর স্বামী বিজেপি করে। আর বিজেপির করার জন্যই নাকি তৃণমূল তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছে।

আর এরমধ্যে নির্যাতিতার দাদু চাঞ্চল্যকর তথ্য সবার সামনে এনেছেন। তিনি বলেছেন, ধর্ষককে আমি কোনদিনও বিজেপি করতে দেখিনি। তবে হ্যাঁ ওনাকে আমি সিপিএম করতে দেখেছি। তাকে কেনও যে বিজেপি কর্মী বলা হচ্ছে সেটা বুঝতে পারছি না। নির্যাতিতার দাদু জানান, অযথা এই বিষয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। সবার উচিৎ রাজনীতি না করে দোষী যাতে কঠোর শাস্তি পায় সেটা দেখা।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর