স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে বাজারে গিয়েই খুলল ভাগ্য! ৩০ টাকার লটারি কিনে কোটিপতি হলেন নাপিত

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভাগ্যের ফেরে কে যে কখন কোটিপতি (Millionaire) হয়ে যাবেন তা বোঝার অপেক্ষা থাকে না। এমনিতেই একটা বাগধারা প্রচলিত রয়েছে যে, “ভগবান যখন দেন তখন দু’হাত ভরে দেন।” বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের কাছে যে বিষয়টির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব তাতে এই বাগধারার সত্যতা ফের একবার প্রমাণিত হবে। শুধু তাই নয়, পুরো বিষয়টি জানার পর রীতিমতো অবাক হবেন প্রত্যেকেই।

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে রাগারাগি করে বাজারে মাংস কিনতে গিয়েই কার্যত ভাগ্য বদলে ফেললেন একজন নাপিত। শুধু তাই নয়, তিনি হয়ে গেলেন কোটিপতিও। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে অবাক হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। এমতাবস্থায়, চলুন জেনে নিই পুরো বিষয়টি।

Barber became a millionaire by buying a lottery ticket of 30 rupees

পেশাগতভাবে নাপিতের কাজ করে অল্প উপার্জনেই সংসার চলছিল জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত ধুপগুড়ির দামবাড়ি এলাকার বাসিন্দা নিবাস চন্দ্রশিলের। এমন পরিস্থিতিতে সংসারে ছিল নিত্য অনটন। পাশাপাশি, স্ত্রীর সঙ্গেও চলত প্রায়শই ঝগড়া। গত রবিবারও ঠিক একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই দিন সকালে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে বাজারে বেরিয়ে যান নিবাস। সেখানে প্রথমে মাংস কিনে তারপর ৩০ টাকা দিয়ে লটারি কিনেছিলেন তিনি। আর তাতেই ঘুরে যায় ভাগ্য।

আরও পড়ুন: রেললাইনে পড়ে আছে ট্রাক! লাইন বরাবর দৌড়ে দাঁড় করালেন ট্রেন, বৃদ্ধ দম্পতির তৎপরতায় এড়ানো গেল বড় বিপদ

তিনি কল্পনাও করতে পারেননি যে, ওই লটারির মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠবেন কোটিপতি। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় সমগ্র এলাকায়। এত দিনের অভাব অনটনকে সঙ্গী করে আসা নিবাসের কোটিপতি হওয়ার বিষয়টি সমগ্র এলাকাতেই মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি, এখনও সামগ্রিক বিষয়টি বিশ্বাসই করতে পারছেন না নিবাস।

আরও পড়ুন: ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ! জানুয়ারিতে ইস্পাত রফতানিতে নজির ভারতের, চমকে দেবে পরিসংখ্যান

এই প্ৰসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি যে এই প্রথম লটারির টিকিট কেটেছেন এমনটা কিন্তু নয়। বরং, সুযোগ পেলে মাঝেমধ্যেই তিনি লটারির টিকিট কাটতেন। তবে, এবার ভগবান তাঁর দিকে মুখ তুলে চেয়েছেন। আর এইভাবেই কোটিপতি হয়ে সবাইকে অবাক করেছেন তিনি। খুশি হয়েছেন তাঁর স্ত্রীও।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর