বাংলা হাণ্ট ডেস্কঃশহর বর্ধমানে দেহ ব্যবসা শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছেছে।রীতিমত ল্যাপটপ, মোবাইল, ইন্টারনেট দুনিয়ায় বিজ্ঞাপন ,তারপরে কাস্টমারের ফোন, অবশেষে শহরে কোন এক লজে, হোটেলে, অথবা বসতবাড়িতে আমন্ত্রণ ,মাল পছন্দ হলে তারপর দরদাম এমনটাই চলছে।উঠতি কিশোরী থেকে গৃহবধূ কেউই বাদ যায় না এই তালিকার থেকে।চার হাজার থেকে দশ হাজার ঘন্টা প্রতি রেট। ছবি দেখে পছন্দ করার পর দরদাম ঠিক হয়। ডামাডোলের বাজারে শুধুমাত্র খাবারের হোটেল করে লাভের মুখ দেখার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিল বর্ধমান শহরে হোটেল মালিকগুলি। অবশ্য এমন তো হওয়ারই ছিল। এই দালাল চক্রের লোভনীয় প্রস্তাবে পা দেওয়া ছাড়া উপায় নেই,হোটেল তোমার কাজ- আমাদের প্রতিদিনের খরচা নির্দিষ্ট পেয়ে যাবে, ডিন হিসেবে কন্টাক্ট এর মেয়ে সাপ্লাই আমরা দেবো,এই লোভনীয় প্রস্তাব অস্বীকার করতে পারছে না হোটেলের মালিক গুলি,আর এখান থেকেই শুরু অপরাধের। কাজের সন্ধানে আসা কিশোরী থেকে যুবতী গৃহবধূ প্রত্যহ হাজার টাকা থেকে 2000 টাকার লোভে ফাঁদে পা দিচ্ছে এই ধরনের আরকাঠি বা দালালদের হাতে।কয়েক বছর আগে পুলিশ সুপার কুনাল আগারওয়াল এর আমলে এদের কোমর ভেঙে গিয়েছিলো, দেহ ব্যবসা সিন্ডিকেটের মাথারা কেউ ওমেন ট্রাফিকিং অথবা আর্মস কেস এ পড়ে অনেকদিন জেল খাটায় নিয়ন্ত্রিত হয় বর্ধমান শহরের দেহ ব্যবসা।
অবশ্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি,পুনরায় নতুন ডাক বাবুদের হাত ধরে সেটিং আবার নতুন ভাবে পথ চলা শুরু, অপরাধ জগতের। প্রত্যহ নিত্য নতুন নারীর সহচর্য আসা অন্ধকার জগতের জিব্রা আসছে বর্ধমানে। আইন মোতাবেক একটা আধার কার্ডের জেরক্স দিলেই মিলছে ঘর, তারপর মদ তারপর দেহ ব্যবসা। শুধু তাই নয় এই ব্যবসা ছাড়াও এই ধরনের হোটেল গুলিতে আসছে জাল নোট কারবারি থেকে শুরু করে অস্ত্র ব্যবসায়ী । শহর বর্ধমান এ আছে গোয়েন্দা বিভাগ,কেন্দ্র থেকে রাজ্যের ।রয়েছে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তর ,এই ব্যবসা বন্ধে হেলদোল নেই কারো |
অভিনব পন্থায় এই ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে | হোটেল মালিক দেহ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে, এবং চুক্তিবদ্ধ থাকার সময় কালের পুলিশি অভিযানে যদি কিছু বেআইনি জিনিস ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে অভিযোগ হবে না হোটেল মালিকের নাম।এরই ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে একশ্রেণীর হোটেল মালিক। প্রয়োজন নজরদারির ,অন্যথায় নারী দেহের লোভে আসা অপরাধজগতের জীবদের দাঁড়ায় আবারো আক্রান্ত হবে বর্ধমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোটেল ব্যবসায়ীর কথায় মোটা মাসোহারা পেলেই পুলিশ শান্ত, এমন শান্তির ব্যবসা এটা বর্ধমানেই সম্ভব। আশ্চর্যজনকভাবে চোখ বর্ধমানের রাজনৈতিক দলগুলি শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতি ছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতা দেখানোর প্রয়োজন মনে করে না কোন পক্ষ।
নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ যে দলকে ক্ষমতায় আনবে, শান্তি এবং সুরক্ষার দায় তাদের। গড়ে উঠুক গণ আন্দোলন ,এই সমস্ত
বেআইনিভাবে কারবার এদের বিরুদ্ধে। তবেই গড়ে উঠবে সুস্থ সমাজ।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা