বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রথম জীবনে দরিদ্র থাকলেও, বর্তমানে চৌধুরী বসন্ত সিং শ্যোকদের (Chaudhary Basant Singh Shyonkad) পরিবার অর্থের মুখ দেখেছে। মাত্র চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেও, পড়াশুনার গুরুত্বটা ঠিকই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। সেই কারণে নিজে অর্ধশিক্ষিত থাকলেও, পরিবারের সন্তানদের তিনি পড়াশুনা শিখিয়ে শিক্ষিত করেছেন। তাঁর পরিবার থেকে দুই আইএএস (IAS), একটি আইপিএস (IPS) সহ ১১ জন অফিসার হয়েছেন।
বাসন্ত সিং-এর পরিবার
হরিয়ানার জিন্দ জেলার ডুমারখান কালান গ্রামে বসবাস করেন চৌধুরী বাসন্ত সিং শ্যোকাদ এবং তাঁর পরিবার। ২০২০ সালের মে মাসের তিনি মারা যান। নিজে কম শিক্ষিত হলেও, সর্বদা উচ্চ শিক্ষিত মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা করতেন তিনি। তাঁর চার ছেলে ও তিন কন্যাও তারই মত স্বভাবের অধিকারী হয়েছিলেন। এভাবেই তাঁর ছেলে মেয়েরা সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। এক পুত্রবধূ, এক নাতনি আইপিএস এবং নাতি আইএএস হিসাবে যোগদান করেন।
বড় ছেলের পরিবার
সংবাদ সূত্র মারফত জানা যায়, বসন্ত সিংয়ের বড় ছেলে রামকুমার শোকোকন্দ একজন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত কলেজের অধ্যাপক। রামকুমারের পুত্র যশেন্দ্র আইএএস বর্তমানে ডিসি রেওয়ারি। কন্যা আইপিএস স্মৃতি চৌধুরী, আম্বালা রেলওয়ের এসপি পদে নিযুক্ত আছেন এবং তাঁর স্বামী রাজেশ কুমার বিএসএফের আইজি পদে রয়েছেন। তাঁদের পুত্র আবার সেনাবাহিনীর জিএম।
পিছিয়ে নেই অন্যান্য ছেলেরাও
অপরদিকে কর্নেল বাসন্ত সিংয়ের দ্বিতীয় সন্তান সজন কুমার কনফেডের জিএম। তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা একজন ডেপুটি ডিইও। আবার বাসন্ত সিংয়ের তৃতীয় পুত্র বীরেন্দ্র এস.ই. এবং তাঁর স্ত্রী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সে ডেপুটি ম্যানেজার। পিছিয়ে নেই চতুর্থ পুত্রও। গজেন্দ্র সিং ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নিজের জীবন কাটানোর পর বর্তমানে ব্যক্তিগত পাইলট হিসাবে কাজ করছেন।
এগিয়ে আছে মেয়েদের পরিবারও
ছেলেদের পাশাপাশি বসন্ত সিং-এর মেয়েরাও এগিয়ে রয়েছেন। বড় মেয়ে বিমলার ছেলে অনিল ধুল বিবিএমবিতে এসই ভিজিল্যান্স হিসাবে কাজ করছেন। দ্বিতীয় কন্যা কৃষ্ণার স্বামী রঘুবীর পাঙ্গাল একজন অবসর প্রাপ্ত মেজর। তাঁর কন্যা দায়া পাঙ্গাল একজন ইটিও। আবার বসন সিং-এর কনিষ্ঠা কন্যা কৈশল্যার স্বামী রণধীর সিং একজন জনস্বাস্থ্য সংস্থার এসই। এবং তাঁর কন্যা রিতু চৌধুরী চৌধুরী একজন আইআরএস এবং স্বামী অনুরাগ শর্মাও আইআরএস। সকলেই যে যার নিজের কর্মক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।