বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগ বসিরহাট জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে। গ্রেফতারিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে ফের প্রশ্নের মুখে জেলা পুলিশের (Sandeshkhali Police) ভূমিকা। আইন না মেনে গ্রেফতার করায় এবার পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ বসিরহাট এসিজেএম (Basirhat Acjm)।
ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে পাশাপাশি কেন আদালতের নির্দেশ তোয়াক্কা না করে গ্রেফতার সেই নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে জবাব তলব করেছে আদালত। বেঁধে দেওয়া হয়েছে সাত দিনের টাইট ডেডলাইনও। শেষ দফা লোকসভা ভোটের দিন সন্দেশখালির রাজবাড়ি এলাকায় গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। গোলমালের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপে আগেই স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ অমান্য করে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ তোলেন ধৃতদের আইনজীবীরা।
এরপরই গ্রেফতারির ঘটনায় ন্যাজাট থানার ওসিকে তলব করেন বসিরহাট আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা এসিজেএম। শুক্রবার আদালতে OC হাজির হলে তাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত। এসিজেএম-র প্রশ্ন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে গ্রেফতার? এ নিয়ে আপনার কী ব্যাখ্যা?’
ওসি-র দিকে প্রশ্ন ছুড়ে এসিজেএম বলেন, ‘আপনারা গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে কীভাবে কোর্টে পাঠালেন? কেস ডায়েরিতে কী হাইকোর্টের নির্দেশ নেই? কেস ডায়েরি সঙ্গে এনেছেন?’। ওসি এবং তদন্তকারী অফিসারের কাছে গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা চায় আদালত। ACJM বলেন, ‘আপনাকে সদুত্তর দিতে হবে।’ ওদিকে সরকারি আইনজীবী জানান, তার এখানে কোনো বক্তব্য নেই।
আরও পড়ুন: শহরের বুকে তৃণমূল নেতার অবৈধ দোতলা বাড়ি! হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙে গুড়িয়ে দিল পুরসভা
বিবাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, “ কেন হাইকোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে এই গ্রেফতার করলেন, এই নিয়ে ন্যাজাট ওসিকে লিখিত জানাতে হবে।” আইনজীবী বিকাশ ঘোষ বলেন, ‘হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও কেন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এই বিষয়ে জানতেই ওসিকে ডেকে পাঠিয়েছেন এসিজেএম। তিনি গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছেন।