বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ক্রিকেট হল ভারতীয়দের কাছে আবেগের আর এক নাম। ৮ থেকে ৮০ বছর বয়স্ক, সকলেই খেলাটি অত্যন্ত পছন্দ করে থাকেন। এই নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে আবেগের বিস্ফোরণ ঘটে মাঝেমধ্যেই। দেশের ক্রিকেট দলকে বড় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ যেটা দেখিয়েছে এমন আনন্দে তখন এখানকার সমর্থকরা ঠিক তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হারার পরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ভক্তদের দ্বারা হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে এমন অভিজ্ঞতার সংখ্যা নেহাত কম নয়।
কিন্তু সম্প্রতি কানপুরে একটি পাড়ার ম্যাচ কে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে তা শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনারও। পাঠকদের মধ্যে অনেকেই ক্রিকেট খেলতে গিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে মতের অমিল হওয়ায় ঝগড়াঝাঁটি করে থাকবেন। কখনো কখনো এই ঝগড়া হাতাহাতি অবধিও পৌঁছয়। কিন্তু এই ঝঞ্ঝাট থেকে যদি কারোর মৃত্যু হয় তাহলে সেই ঘটনা সকলকে ভয়ভীত করে তুলবে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
ঠিক এমন ঘটনাই ঘটেছে কানপুরের ঘতমপুর এলাকায়। বিকেল পাঁচটা নাগাদ ক্রিকেট খেলতে একত্রিত হয়েছিলেন পাড়ার কিছু ছেলে। এই সময় হরগোবিন্দ নামের এক বালক ব্যাটিং করছিলেন যাকে নিজের স্পিনের জালে ফাঁসিয়ে বোল্ড করেছিলেন সচিন নামের এক বালক। এখান থেকেই গড়ে ওঠা ঝামেলা।
আউট হওয়ার পর সচিনকে ঘিরে ধরেন হরগোবিন্দ এবং তার ভাই। এরপর ধস্তাধস্তির মাঝেই গলা টিপে তারা হত্যা করেন সচিনকে। এরপর নিহত বালকের পরিবার সেই স্থানে উপস্থিত হয় এবং তড়িঘড়ি করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর অনেক আগেই তার মৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়ে দেন ডাক্তাররা।
সচিনের বাবা এরপর হরগোবিন্দ ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অগ্রাহ্য করেন। এরপর ব্যাপারটা গড়ায় থানা পুলিশ অবধি। ওই এলাকার এসিপি দীনেশ শুক্লা জানিয়েছেন যে তারা তদন্ত করে দেখছেন এবং প্রয়োজনে করা ব্যবস্থা নেবেন। আপাতত সচিনের দেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে।