কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! কেউ করেছিলেন আত্মহত্যা, কেউ মরেন বজ্রাঘাতে!

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পলাশীর যুদ্ধে (Battle of Plassey) ষড়যন্ত্রকারীদের শেষ পরিণতি ছিল অত্যন্ত ভয়ানক। নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী প্রত্যেকের করুণ মৃত্যু ইতিহাসের পাতায় আজও রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন নিয়ে। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে মুর্শিদাবাদের নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পিছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন তাঁরই বিশ্বস্ত মীরজাফর।

পলাশীর যুদ্ধে (Battle of Plassey) ষড়যন্ত্রকারীদের মৃত্যু 

পলাশীর যুদ্ধে (Battle of Plassey) সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের ফলে অস্তমিত হয়েছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। তারপর দেড়শ বছর ধরে ইংরেজদের অকথ্য অত্যাচার ও শোষণ বাংলা তথা ভারতবর্ষকে পিছিয়ে দিয়েছে বহু বহু যুগ। তবে শুধু মীরজাফর নয়, সিরাজউদ্দৌলাকে সিংহাসনচ্যুত করার পিছনে ছিল আরো একাধিক ব্যক্তির ষড়যন্ত্র।

Battle of Plassey

তবে কাকতালীয়ভাবে এইসব ষড়যন্ত্রকারীর মৃত্যু হয়েছিল খুবই নির্মমভাবে। আজ জেনে নেব সেই কথাই। পলাশীর যুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে প্রধান ছিলেন লর্ড ক্লাইভ।  ঘুষ,দুর্নীতি, সম্পদ আত্মসাৎ, ষড়যন্ত্র, অপরাজনীতির অভিযোগে ইংল্যান্ডের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে লর্ড ক্লাইভ অপমানে ১৭৭৪ সালের ২২ নভেম্বর নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।

আরোও পড়ুন : লেপ গায়ে দেওয়ার আগে বলুন তো, কেন লেপের রং লাল? এর পিছনে রয়েছে ঐতিহাসিক কারণ!

মীর মিরনের নির্দেশে মোহাম্মদী বেগ নির্মমভাবে হত্যা করেন সিরাজউদ্দৌলাকে। সেই মীর মিরনের বজ্রাঘাতে অপমৃত্যু ঘটে পলাশীর যুদ্ধের ৩ বছরের পর ১৭৬০ সালের ৩ জুলাই। পলাশীর যুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালা মেহেরুন্নেসা ওরফে ঘসেটি বেগম।

feature 20240623131547

যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন কারণে মীর জাফর ও পুত্র মিরনের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লে মিরনের নির্দেশে তাকে বন্দী করা হয় ঢাকার জিনজিরা প্রাসাদে। এমন অবস্থায় একদিন মিরনের নির্দেশে ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) আনার সময় বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকাডুবিতে করুণ মৃত্যু হয় ঘসেটি বেগমের।

আরোও পড়ুন : সর্বনাশ! আপনার ফোন হ্যাক হয়নি তো? বলে দেবে ৫টি লক্ষণ, না জানলে আপনারই ক্ষতি!

পলাশীর যুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম ছিলেন কলকাতার বিখ্যাত ব্যবসায়ী উমিচাঁদ। ক্ষমতা আর টাকার লোভে উমিচাঁদ ক্লাইভের সাথে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। তবে লর্ড ক্লাইভের বিশ্বাসঘাতকতায় প্রতিশ্রুতি মতো সিরাজের সম্পদ না পেয়ে শোকে পাগল হয়ে যান তিনি। ১৭৬৭ সালে রাস্তায় পাগল অবস্থায় মৃত্যু হয় উমিচাঁদের।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর