বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) ‘ওয়ান কান্ট্রি, ওয়ান ল”-র জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে রয়েছেন গালাগোদা আথথি জ্ঞানসারা (Galagoda Aththe Gnanasara)। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাভায়া রাজপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa) নিজেই গালাগোদাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ভিক্ষু গালাগোদা আথথি জ্ঞানসারার বিরুদ্ধে এর আগে মুসলিম বিরোধী হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ওনার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের রয়েছে। আর এখন তাঁর কাঁধেই গোটা শ্রীলঙ্কায় এক আইন লাগু করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি।
গালাগোদা আথথি জ্ঞানসারা-র সংগঠনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গালাগোদা আথথি জ্ঞানসারাকে ১৩ সদস্যের সেই কমিটির প্রধান বানানো হয়েছে, যেই কমিটি এখন শ্রীলঙ্কায় এক দেশ, এক আইন বানানোর জন্য খসড়া তৈরি করবে। এই খসড়ার ভিত্তিতেই শ্রীলঙ্কার সরকার দেশে আইন লাগু করবে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ‘এক দেশ, এক আইন” লাগু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই শ্রীলঙ্কায় ক্ষমতায় এসেছে গোটাভায়া রাজপক্ষে। আর এবার সেই আইন লাগু করার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।
এই টাস্ক ফোর্সে মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪ জন প্রতিনিধিকেও শামিল করা হয়েছে। কিন্তু এই কমিটিতে সংখ্যালঘু তামিল সম্প্রদায়ের কাউকে রাখা হয়নি। এই কমিটি ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২-র মধ্যে সরকারের কাছে সমস্ত রিপোর্ট পেশ করবে। এরপরই দেশে নয়া আইন লাগু করার প্রস্তুতি নেবে সরকার। বলে দিই, দেশে ইসলামিক মৌলবাদ রোখার জন্যই এই আইন আনতে উঠেপড়ে লেগেছে শ্রীলঙ্কার সরকার।
২০১৯ সালে ইস্টারের দিন বোমা বিস্ফোরণের পর শ্রীলঙ্কায় মুসলিম মৌলবাদের বিরুদ্ধে ভাবনা পাল্টে যায় সরকারের। ওই বোমা বিস্ফোরণে ২৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২১ এপ্রিল, ২০১৯ সালের ওই মর্মান্তিক ঘটনায় ৫০০-র বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন। এরপর শ্রীলঙ্কায় বোরখা ব্যান করা হয়। তখন থেকে ইসলামিক মৌলবাদীদের দমনের প্রচেষ্টায় লেগেছে রাজপক্ষে সরকার।