বাংলা হান্ট ডেস্ক : সমস্ত সীমা পার করে ফেলছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) রাজনৈতিক জীবন ও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করে গোটা বিশ্বে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে দিন কয়েক আগেই। ভারতেও এই তথ্যচিত্র নিয়ে যা নিয়ে তুমুল অশান্তি দেখা দেয়। এবার ফের একটি বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রকাশ করল বিবিসি (BBC)। এর পর নিজেদের দেশেই তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়ল ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটি। ওই তথ্যচিত্রে ইসলামিক স্টেটে যোগ দেওয়া এক জঙ্গির প্রতি সহানুভূতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে বিবিসির বিরুদ্ধে।
শামিমা বেগম। ছোটবেলা থেকেই ব্রিটেনে থাকত সে। ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএসে যোগ দেয় সে। বর্তমানে তার বয়স ২৩। সেই শামিমাই বিবিসির (BBC) হাত ধরে আরও একবার উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে। তার জীবনী নিয়ে ৯০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র মুক্তি পেয়েছে। নাম ‘দ্য শামিমা বেগম স্টোরি’। অভিযোগ, আইএসের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দেওয়া শামিমার প্রতি এই তথ্যচিত্রে অত্যন্ত সহানুভূতি দেখানো হয়েছে। তিনি নাকি আইএস যোগ দিয়ে বেশ অনুতপ্ত, সেই বিষয়টিও ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে এই ডকুমেন্টারিতে।
এই তথ্যচিত্র দেখেই রেরে করে উঠেছে ব্রিটেনের বাসিন্দারা। একাধিক মহল থেকে উঠছে বিবিসিকে বয়কটের ডাক। শুধু তাই নয়, জানা যাচ্ছে ব্রিটেনবাসীদের একটা বড় অংশ দাবি করেছে, তারা নতুন করে আর বিবিসি সাবস্ক্রাইবই করবে না। দর্শকরা টুইটারে প্রশ্ন তুলেছেন, বিবিসির হয়েছে কী? কেন এভাবে একজন জঙ্গিকে নির্যাতিতা হিসেবে দেখানো হচ্ছে? জঙ্গির জীবনের কাহিনি এভাবে দেখানো উচিত হচ্ছে না বলেও দাবি করা হয়েছে।
মোদিকে (PM Modi) নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রে বিবিসি দেখায় বিজেপি সরকারের আমলে গুজরাট সহ গোটা ভারতে মুসলিমদের উপর অত্যাচার চলছে। এমনকী ভারতে মুসলিম গণহত্যার প্রবণতাও দিন দিন নাকি বাড়ছে। এবার শামিমার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে অনেকেরই বিরাগভাজন হয়েছে বিবিসি। প্রসঙ্গ, সিরিয়ায় গিয়ে ডাচ আইএস জঙ্গির সঙ্গে বিয়ে করায় শামিমা ‘জিহাদি ব্রাইড’ নামেও পরিচিত।
প্রসঙ্গত, বিবিসিকে নিষিদ্ধ করার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন হিন্দু সেনার প্রেসিডেন্ট বিষ্ণু শর্মা। তাঁর দাবি ছিল বিবিসি ভারত বিরোধী, কেন্দ্রের মোদি সরকার বিরোধী। বিশ্ব রাজনীতিতে দ্রুত গুরুত্পূর্ণ হয়ে উঠছে ভারত। তাই ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া দ্য মোদি কোশ্চেন-র মতো তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। গুজরাট হিংসার উপরে যে তত্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে তাতে সুপরিকল্পিতভাবে নরেন্দ্র মোদিকে টেনে আনা হয়েছে। এর পেছনে নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তিতে কালি ছেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দুত্বের উপরে আঘাত হানা হয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দিয়েছে এই আবেদন।