বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির বিতর্কিত সাংবাদিক সম্মেলনে হতবাক বিসিসিআই। সংকট মোকাবেলার জন্য বিকল্প ব্যবস্থাগুলি ভেবে দেখছে তারা এবং সেইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজের আগে মাঠের বাইরে নাটকীয় ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করছে তারা।ভারতীয় টেস্ট অধিনায়ক কোহলি তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার আগে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে তাকে টি টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়া থেকে আটকানো হয়নি। তার বক্তব্য বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত যা তিনি গণমাধ্যমে বলেছিলেন।
এই প্রজন্মের ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা ও বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক এবং সভাপতি পদে থাকা প্রাক্তন অধিনায়কের বক্তব্যের মধ্যে বিরোধিতা অতীতে আগে কোনওদিন ঘটেনি। জানা গেছে যে বুধবার যা ঘটেছে তাতে বিসিসিআই-এর কেউই খুশি নন তবে তারা বুঝতে পেরেছেন যে তাদের কাছ থেকে কোনও কঠোর প্রতিক্রিয়া বিষয়টির সমাধানের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক হতে পারে। কোহলি কাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছেছেন যখন কলকাতায় বোর্ড সভাপতি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে তিনি কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি দেবেন না। জানা গেছে যে গাঙ্গুলি এবং বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ সহ বিসিসিআইয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা বুধবার একটি জুম কলে কথা বলেছেন যেখানে যৌথভাবে কোনও প্রেস কনফারেন্স বা প্রেস রিলিজ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআইয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছে, “সকলের দৃষ্টিভঙ্গি একইরকম, এবং সেটা হলো কিভাবে বিসিসিআইয়ের সাথে জড়িত এই সংবেদনশীল বিষয়টিকে মোকাবেলা করা যায় কারণ এটি বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মর্যাদার সাথে জড়িত বিষয়। বিসিসিআই সচেতন যে সামনে গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজ এবং তাড়াহুড়ো করে নেওয়া তাদের যে কোনও সিদ্ধান্ত বা বিবৃতি দলের মনোবলকে প্রভাবিত করতে পারে।
অধিনায়ক এবং সভাপতির জন্য সর্বোত্তম উপায় হবে সামনাসামনি বসে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে তাদের মধ্যে থাকা মতপার্থক্য বা যোগাযোগের অভারের বিষয়টি সমাধান করা। এই মুহূর্তে অধিনায়কের সঙ্গে সৌরভের বা জয় শাহের কথা বলার সম্ভাবনা কম। সাধারণত একজন কেন্দ্রীয় চুক্তির খেলোয়াড় প্রতিষ্ঠান বা পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক মন্তব্য করবেন বলে প্রত্যাশিত নয়। তবে কী ঘটেছে সেই প্রশ্নের উত্তরে কোহলির প্রতিক্রিয়াও স্পর্শকাতর বিষয় এবং এটির একটি সহজ সমাধান বার করতে হবে বিসিসিআই-কে।