বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বিসিসিআই ভারতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য একটি পরিবর্তিত কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করেছে। এই নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফর্মে না থাকা অনেক ক্রিকেটারের অবনতি ঘটিয়েছে বিসিসিআই। বিসিসিআই কিছু ক্রিকেটারকে ‘এ’ গ্রেড থেকে ‘বি’ গ্রেডে অবনমিত করেছে, যা কিছুটা প্রত্যাশিতই ছিল। কয়েক বছর আগে ভারতীয় দলের দুই স্তম্ভ বলে পরিচিত কিন্তু এই মুহূর্তে অফফর্মের শিকার দুই তারকা অজিঙ্কা রাহানে এবং চেতেশ্বর পূজারাকে এ গ্রেড থেকে বি গ্রেডে স্থানান্তরিত করেছে বিসিসিআই। শিখর ধাওয়ান এবং হার্দিক পান্ডিয়াকে বিসিসিআই গ্রেড এ থেকে সরাসরি সি গ্রেডে নামিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
যদিও অনেকেই বলছেন অজিঙ্কা রাহানে এবং চেতেশ্বর পূজারার প্রতি বিসিসিআই এখনও কিছুটা নম্রতা দেখিয়েছে। নয়তো টানা এক বছরের ফ্লপ পারফরম্যান্স করার পর বিসিসিআই তাদের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দিলেও কিছু বলার থাকতো না। কিন্তু শিখর ধাওয়ান এবং হার্দিক পান্ডিয়াকে বিসিসিআই গ্রেড এ থেকে সরাসরি সি গ্রেডে রেখে তাদের প্রতি অবিচার করেছে বলেই অনেকে মনে করছেন। বেশ কিছু ভক্তদের মতে তাদের বি গ্রেডেও রাখা যেতো।
চায়নম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদব এবং ফাস্ট বোলার নভদীপ সাইনি এতদিন কেন্দ্রীয় চুক্তির সর্বনিম্ন গ্রেড সি পর্যায়ে ছিলেন। তাদের সেখান থেকেও ছেঁটে ফেলেছে বিসিসিআই। তবে ‘এ প্লাস” গ্রেডের সর্বোচ্চ স্তরে কোনো পরিবর্তন হয়নি। অনেকে ভেবেছিলেন যে রবীন্দ্র জাদেজা এবং রিশভ পন্তকে তাদের সাম্প্রতিক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য তাদের এই গ্রেডের অন্তর্ভুক্ত করা হবে, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তা হয়নি। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, যশপ্রীত বুমরা-রাই শুধু রইলেন এ প্লাস গ্রেডের আওতায়।
আগে বিসিসিআইয়ের নির্ধারিত এ গ্রেডে ১০ জন খেলোয়াড় ছিলেন, এখন তা কমিয়ে পাঁচ করা হয়েছে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, রিশভ পন্থ, লোকেশ রাহুল এবং মহম্মদ শামি গ্রেড এ-তে তাদের জায়গা ধরে রেখেছেন। গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক বিতর্কে জড়ানো উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহাকেও গ্রেড বি থেকে সি-গ্রেডে নামিয়ে আনা হয়েছে। বাছাই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করার পাশাপাশি বিসিসিআই সভাপতি ও প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় চুক্তির ধারা লঙ্ঘন করেছেন সাহা। তারপরও সাহাকে গ্রুপ সি-তে রাখা হয়েছে যদিও টিম ম্যানেজমেন্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভারতের হয়ে তার আর খেলার সম্ভাবনা নেই। পেস বোলার মহম্মদ সিরাজ তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ফলস্বরূপ গ্রুপ বি-তে উঠে এসেছেন। একইভাবে সীমিত ওভারে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করা সূর্যকুমার যাদব এখন গ্রুপ সি-তে প্রবেশ করেছেন।
চারটি বিভাগের প্রাপ্ত টাকা-
এ প্লাস গ্রেড: ৭ কোটি টাকা
এ গ্রেড: ৫ কোটি টাকা
বি গ্রেড: ৩ কোটি টাকা
সি গ্রেড: ১ কোটি টাকা