বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সারা বিশ্বের সিনেমাপ্রেমীদের জন্য খুবই দুঃসংবাদ এসেছে। ৯২ বছর বয়সে পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছেন বিশ্ব বিখ্যাত গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। তার মিষ্টি কন্ঠের পাগল কোটি কোটি মানুষ। চলচ্চিত্র জগতে পাঁচ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন তিনি। এটা হয়ত অনেকেরই অজানা যে, লতা মঙ্গেশকর ক্রিকেটের প্রতি খুব ভালোবাসা ছিল। তিনি ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে উড়ে গিয়েছিলেন। যখনই সুযোগ পেয়েছেন, তখনই ক্রিকেট ম্যাচ দেখতেন তিনি।
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ দেখতে লতা মঙ্গেশকর নিজে স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। BBC-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন যে, উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ ছিল, তবে ম্যাচ যত শেষের দিকে আসতে শুরু করেছিল, তত আমি ভারতের জয়ের বিষয়ে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। তবে ম্যাচ কখন পাল্টে যায়, সেটা বলা সম্ভব ছিল না। বলে দিই, লতাজির ক্রিকেটের প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল।
আজ BCCI বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড, কিন্তু ১৯৮৩ সালে গল্পটি সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন ছিল। তখন বিসিসিআইয়ের কাছে ১৯৮৩ সালের বিজয়ী দলকে পুরস্কৃত করার মতো টাকা ছিল না। তৎকালীন বিসিসিআই সভাপতি এনকেপি সালভে লতা মঙ্গেশকরের কাছে এসেছিলেন এবং ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে একটি কনসার্ট করতে বলেছিলেন, যা শুনে তিনি রাজিও হয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানটি খুবই হিট হয়েছিল এবং সেই অনুষ্ঠান থেকে যা কিছু অর্থ এসেছিল, তা পুরস্কার হিসাবে ক্রিকেটারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। সেই কনসার্টে গানও গেয়েছেন ক্রিকেটাররা। সেই দৃশ্য অবাক করা ছিল।
কনসার্টের হাইলাইট ছিল লতা মঙ্গেশকরের সুরকার ভাই পন্ডিত হৃদ্যনাথ মঙ্গেশকর দ্বারা রচিত একটি বিশেষ গান। ‘ভারত বিশ্ব বিজেতা’- গানটি মঞ্চে ক্রিকেটাররাও গেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত কনসার্টটি থেকে ২০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করা হয়। ১৯৮৩ সালে সেটি একটি রাজকীয় অঙ্ক ছিল, এবং প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য ১ লাখ করে ধার্য করা হয়েছিল। লতা মঙ্গেশকর সেই অনুষ্ঠানে জ্ঞান গেয়ে একটিও টাকা নিয়েছিলেন না।