বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: নতুন রূপে গড়ে উঠছে BCCI-এর অন্ধরমহল। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সেক্রেটারি জয় শাহ-র প্রথম মেয়াদ শেষের পর নতুন করে গঠন হতে চলছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসনিক দিকটি। সেই নতুন সেট আপের প্রধান মুখ এই যে বিশ্বকাপজয়ী তারকা রজার বিনি হতে চলেছেন সেটাও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।
এই নতুন সেট আপের প্রথম লক্ষ্য হবে ঘরের মাটিতে আয়োজিত হতে চলা ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ সুষ্ঠভাবে আয়োজন করা। এখন তার জন্য বেশকিছু মাস সময় রয়েছে বিসিসিআইয়ের হাতে। ১২ বছর আগে ঘরের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বিসিসিআই। সেবার অবশ্য শ্রীনিবাসনের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট বোর্ডের নেতৃত্বে কোনওরকম সমালোচনা ছাড়াই পুরো ব্যাপারটা সম্পূর্ণ করতে পেরেছিল তারা।
কিন্তু পরের বছর এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা দেখা যাচ্ছে। যার জন্য বিসিসিআই একটা বেশ বড়সড় অর্থনৈতিক ধাক্কা খেতে চলেছে। দেশের মাটিতে বড় কোন স্পোর্টিং ইভেন্ট আয়োজন করতে গেলে সেই সংস্থাকে দেশের সরকারকে একটি কর দিতে হয়। বিসিসিআই আশা করেছিল যে কেন্দ্রীয় সরকারের সেই কর মুকুব করে দেবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি, ফলে বেশ চিন্তায় রয়েছে তারা।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী আয়োজক সংস্থাকে সেই দেশের সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছুটা কর ছাড় আদায় করতে হয় যাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার সেই দেশে টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে পারে। কিন্তু ভারতের বর্তমান ট্যাক্স রুল এইরকম কোনও কর ছাড়কে মান্যতা দেয় না। এছাড়া সারচার্জের ও বিরোধী ভারতীয় সরকার। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন এর সময় প্রায় ১৯৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল বিসিসিআইয়ের। সেই নিয়ে এখনও আইসিসির কাছে জবাবদিহি করতে হয় বিসিসিআইকে। কেন্দ্রীয় সরকার যদি এই ব্যাপারে নরম না হয় তাহলে মোট ৯৫৫ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে বিসিসিআইয়ের।
ইতিমধ্যেই আইসিসি সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে ২০ শতাংশ সারচার্জ (ভালো পরিষেবার জন্য অতিরিক্ত মূল্য) অর্ডার পেয়েছে। বিসিসিআই এই মুহূর্তে আইসিসি এবং কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের সাথে আলোচনা করে লোকসানটি কমিয়ে ৪৩০ কোটি টাকার মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে।