বাংলা হান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগে ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হয় পৃথ্বী শ। এর কারণে বি সি সি আই, আট মাস অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সাসপেন্ড করে তাকে।এই কদিন কোনও ধরণের ক্রিকেটে খেলতে পারবেন।তবে এই বিষয় নিজের ভুল স্বীকার করেছেন পৃথ্বী । তার দাবি,না বুঝেই নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ সেবন করে ফেলেছিলেন তিনি। তবে আট মাসের নির্বাসনের পর পুরো দমে কাম ব্যাক করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। কিন্তু সূত্র অনুযায়ী, পৃথ্বীকে শাস্তি দাওয়ার পর বিসিসিআই-এর ডোপ টেস্টের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক।
আসলে বিসিসিআই-এর ডোপ সংস্থা আন্তর্জাতিক ডোপিং বিরোধী সংস্থা ওয়াডা-র অনুমোদিত নয়।সারা বিশ্বের ক্রীড়াক্ষেত্রে নিয়ম, কোনও ক্রীড়াবিদের রক্ত বা মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে একমাত্র ওয়াডা-র অনুমোদিত কোনও সংস্থা।সুতরাং এই দিক দিয়ে দেখতে গেলে কোনো ক্রিকেটারদের শাস্তি দাওয়ার ক্ষমতা নেই বি সি সি আই এর। তাই কিভাবে পৃথ্বী কে সাসপেন্ড করলো এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। বোর্ড-এর কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সকে চিঠিও পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। সেই চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, ওয়াডা-র অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও কী করে পৃথ্বীকে শাস্তি দিল বোর্ড-এর অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা। বিসিসিআই আবার ভারতের অ্যান্টি-ডোপিং সংস্থা নাডা-র নিয়মও মেনে চলে না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড স্বচালিত নিয়ম-কানুন চালু করেছে। বি সি সি আই এর দাবি, তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোনওরকম আর্থিক সাহায্য নেয় না, সুতরাং নাডা-র নিয়ম মেনে চলার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু নাডার কর্তাদের বক্তব্য, জুলাই মাসে এক মিটিংয়ে বিসিসিআই সিইও রাহুল জোহরি নাডা-র নিয়ম মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে এই নিয়ে দুই পক্ষের কোনও চুক্তি না হওয়ায় বি সি সি আই এই নিয়ম মানতে চায়না। কিন্তু এখন পৃথ্বীর ভবিষ্যত কি হবে তা দেখার বিষয়।