বাংলা হান্ট ডেস্ক: একদিকে যেখানে দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলির আয় এবং মুনাফায় সবসময় উত্থান-পতন পরিলক্ষিত হয় অপরদিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিষয়টা সম্পূর্ণ অন্যরকম। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে বিবেচিত BCCI প্রতিবছর ক্রমাগত তার কোষাগার পূরণ করে চলেছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, BCCI-এর আয় প্রতিবছর বাড়ছে এবং সেই কারণে বোর্ডের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ক্রমশ ধনী হচ্ছে BCCI:
জেনে অবাক হবেন যে গত অর্থবর্ষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স প্রায় ৪,২০০ কোটি টাকা বেড়েছে। যার ফলে, বোর্ডের অ্যাকাউন্টে সামগ্রিকভাবে রয়েছে ২০,০০০ কোটি টাকারও বেশি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট লিগ পরিচালনা করার পাশাপাশি ICC থেকে প্রাপ্ত অর্থের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশীদার থাকার কারণে, ভারতীয় বোর্ডের আয় অন্য যেকোনও দেশের ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ে বেশি। প্রতি বছর BCCI এগুলি থেকে বিপুল আয় করে। আর এইভাবেই প্রত্যেক বছরে BCCI-এর অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা আসে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার এই পরিমাণটা পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ৪,২০০ কোটি টাকায়।
ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি: BCCI-র নথির উদ্ধৃতি দিয়ে PTI রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ২০২৩ সালের অর্থবর্ষে বোর্ডের কাছে ক্যাশ এবং ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ছিল প্রায় ১৬,৪৯৩ কোটি টাকা। যা এইবারে বেড়ে ২০,৬৮৬ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ, BCCI-এর কোষাগারে প্রায় ৪,২০০ কোটি টাকা বেড়েছে। শুধু তাই নয়, গত অর্থবর্ষে বোর্ডের মোট আয় প্রত্যাশাকে ছাড়িয়েছে। BCCI অনুমান করেছিল যে এই আয় হবে প্রায় ৭,৪৭৬ কোটি টাকা। যেটি অনুমানের থেকে বেশি হয়ে পৌঁছে গিয়েছে ৮,৯৯৫ কোটি টাকায়। এমতাবস্থায়, BCCI চলতি অর্থবর্ষে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে আরও উন্নত হতে চলেছে রেল পরিষেবা! বড়সড় আপডেট দিলেন রেলমন্ত্রী, লাভবান হবেন যাত্রীরা
বোর্ডের আয় কিভাবে হয়: জানিয়ে রাখি যে, BCCI-এর আয়ের প্রধান উৎস হল IPL এবং টিম ইন্ডিয়া ম্যাচগুলির সম্প্রচার স্বত্ব। যার জন্য উচ্চ দর পাওয়া যায়। ২০২২ সালে, BCCI ৫ বছরের জন্য প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকায় IPL-এর সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করেছিল। এই কারণে প্রতি বছরই বোর্ডের আয় বাড়ছে।
আরও পড়ুন: অনন্য নজির! ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে সপরিবারে অংশগ্রহণ করছেন বাঙালি অলিম্পিয়ান
এদিকে, ২০২৩ সালে, বোর্ড ভারতীয় ক্রিকেটের সম্প্রচার স্বত্ব ৫,৯৬৩ কোটি টাকায় বিক্রি করেছিল। এছাড়াও, ICC-র রেভিনিউ শেয়ারিং মডেলে BCCI-এর ৩৯ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে। এর মানে এখান থেকেও ভারতীয় বোর্ডের আয় অনেকটাই বেশি জয়। এছাড়াও, BCCI উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের সম্প্রচার স্বত্ব, ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি এবং অন্যান্য স্পনসরশিপ থেকে বিপুল অর্থ আয় করে।