বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হার হয়েছে ভারতের। ব্যাটিং-বোলিং সমস্ত ক্ষেত্রেই রবিবার ভারতকে টেক্কা দিয়েছিলেন বাবর আজমরা। এমনকি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তেমন লড়াইও গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয় বিরাট বাহিনী। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ শেষে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। চলছিল আলোচনা-পর্যালোচনা এবং সমালোচনা। এ পর্যন্ত সবই ছিল ঠিকঠাক। যে কোন দলের বিরুদ্ধে ভারতের হারের পর ভারতীয় সমর্থকদের নিশ্চয়ই দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা করার যথেষ্ট অধিকার রয়েছে কারণ দলকে সমর্থন করেন তারাই, ভালোবাসেন তারাই।
কিন্তু হঠাৎই শুরু হয় ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে টানাটানি, সমালোচনা শুরু হয় মোহাম্মদ শামির। যা ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছিল ২০০৩ সালের স্মৃতিকে। সেবারও অস্ট্রেলিয়ার সামনে একেবারেই রুখে দাঁড়াতে পারেনি ভারতীয় দল। লজ্জাজনক হার হয়েছিল সৌরভ বাহিনীর। আর তারপরেই গোটা ভারত জুড়ে শুরু হয় প্রতিক্রিয়া, একের পর এক খেলোয়াড়দের বাড়ির সামনে পড়ানো হয় কুশপুত্তলিকা। মোহাম্মদ কাইফ সহ একাধিক খেলোয়াড়দের বাড়িতে ইটও ছোঁড়া হয়। কিন্তু তারপরেই একজোট হয়ে গিয়েছিল গোটা দল। লাগাতার ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে রানার্সআপ হয়েছিল সৌরভ বাহিনী।
এবারও ভারত এভাবেই ঘুরে দাঁড়াবে, এমনটাই মনে করেন আজকের বিসিসিআই সভাপতি তথা সেদিনের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। এই প্রথম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পর এই বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি। তিনি বলেন, “এ সবই অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া। পাকিস্তানের কাছে হারের কারণে অনেক কিছু হয়েছে। এটা আমার কাছে বড় ব্যপার নয়। এটা খেলাধুলার অঙ্গ। তারা হেরেছে, সবাই হারে। আশা করি তারা ফিরে আসবে এবং নকআউটে উঠতে পারবে।”
ভারতের পরবর্তী ম্যাচ রয়েছে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সেই ম্যাচ জিতলে এখনও নকআউটে পৌঁছানোর যথেষ্ট আশা রয়েছে বিরাট বাহিনীর। বিশেষত কাল পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর রাস্তা আরও কিছুটা সহজ হয়ে গেছে তাদের জন্য। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সৌরভ বলেন, “নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি তারা সেখানে নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে।”