দিঘা বেড়াতে যাওয়ার আগে হয়ে যান সতর্ক! সৈকতেই লুকিয়ে রয়েছে বড় বিপদ, নাহলে যেতে পারে প্রাণ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাপ (Snake) হল এমনই একটি প্রাণী যেটিকে ভয় পান না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছেন। রাতের ঘুম উড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে এই সরীসৃপের উপস্থিতিটাই যথেষ্ট। তবে, এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। মূলত, বাঙালির বেড়াতে যাওয়ার অন্যতম ডেস্টিনেশন দিঘাতে (Digha) খোঁজ মিলল ভয়ানক ইয়েলো বেলি সি-স্নেকের।

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই সাপের কামড়ের ক্ষেত্রে কাজ করে না অ্যান্টি ভেনামও। আর এই বিষয়টি সামনে আসার পরেই স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে দিঘাতে আসা পর্যটকদের মধ্যে। আড়াই থেকে তিন ফুট চেহারার এই সাপের বৈজ্ঞানিক নাম হল “পেলামিস প্ল‌্যাটুরাস”। পাশাপাশি, পেটের নিচটা হলদেটে হওয়ায় এই সাপের নাম দেওয়া হয়েছে ইয়েলো বেলি স্নেক।

   

জানা গিয়েছে, মূলত আরব সাগরের বাসিন্দা হলেও কখনও কখনও বঙ্গোপসাগরে চলে আসে এই সাপ। তবে, এবার রীতিমতো দিঘার সৈকতে এসে উপস্থিত হয়েছে সাপটি। এমনকি, সেই ছবিও সামনে এসেছে। বিষের দিক থেকে এই সাপ অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এমনকি, পশ্চিমবঙ্গে থাকা মূলত চারটি গোত্রের বিষধর সাপের তালিকায় কালাচ, কেউটে, গোখরো ও চন্দ্রবোড়ার মধ্যে বিষের তীব্রতায় কালাচ এবং কৃষ্ণ কালাচ সবচেয়ে এগিয়ে থাকলেও এই ইয়েলো বেলিড সি-স্নেক কালাচের থেকে অনেক বেশি বিষাক্ত বলে জানা গিয়েছে।

অর্থাৎ, এই খুদে সাপটিও যে বড় বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ইয়েলো বেলিড সি-স্নেকে রয়েছে “মায়োটক্সিক ভেনম”। এই সাপ কামড়ালে শরীর পুরোপুরি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে কিডনি এবং হার্ট বিকল হয়ে যায়। প্ৰস্রাবের রং হয়ে যায় কফির মতো।

এদিকে, যেহেতু অ্যান্টি ভেনাম কাজ করে না সেহেতু এই সাপ কামড়ালে চিকিৎসকেরাও রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েন। উল্লেখ্য যে, এই সাপের দৈহিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম হল এটির লেজ। যেটি নৌকোর দাঁড়ের মতো চ‌্যাপ্টা! ইতিমধ্যেই ইয়েলো বেলিড সি-স্নেকের কামড়ে বহু মৎস‌্যজীবী প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও, সেইসব মৃত্যুর বিষয়গুলি খাতায়-কলমে সামনে আসে না।

Be careful before going to Digha

তবে, এবার দিঘায় এই সাপের হদিশ মেলায় স্বাভাবিকভবেই তা আতঙ্ক বাড়িয়েছে পর্যটকদের। বছরের প্রায় প্রতিটি সময়েই পর্যটকদের ভিড় পরিলক্ষিত হয় দিঘায়। এমতাবস্থায়, এই ইয়েলো বেলিড সি-স্নেক যে সবার কাছে এক আলাদা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর