বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের মুজফরনগরের জেলা হাসপাতালে যাওয়া এক যুবতীর সাথে অশ্লীলতা করার পর ভয়ঙ্কর পরিনিতি হল এক যুবকের। অশ্লীলতার শিকার ওই যুবতী যুবককে এমন শিক্ষা দিলো, যে সে কোনদিনও ভুলতে পারবে না। ওই যুবতী অভদ্র ব্যাবহার করা ওই যুবককে ততক্ষণ পেটাতে থাকল, যতক্ষণ না যুবক রক্তাত্ব হয়ে পড়ে। যুবতী গোটা হাসপাতাল চত্বরে যুবক ভাগিয়ে ভাগিয়ে পেটাতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু অভিযুক্ত যুবক পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনা নগর কোতওয়ালী এলাকার জেলা হাসপাতালের। জেলা হাসপাতালে এক যুবতী তাঁর মায়ের সাথে ওষুধ নিতে গেছিল, যখন ওই যুবতী ওষুধ নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল, তখন অভিযুক্ত যুবক তাঁর সামনে এসে তাঁর সাথে অভদ্র আচরণ করতে থাকে। যুবকের কাণ্ড দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে যুবতী, এরপরেই অভিযুক্তকে মারধর শুরু করে দেয়। এরপর যুবতী জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সিতে গিয়ে ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
যদিও অভিযুক্ত যুবক পুলিশ কর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এখনো যুবতীর পক্ষ থেকে থানায় কারোর নামে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযুক্ত যুবক ওষুধ নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানো যুবতীর সাথে অভদ্র আচরণ শুরু করার পরেই, যুবতী ওই যুবককে মারধর করে।
আমাদের দেশে রোজই কোথাও না কোথাও মেয়েরা এরকম অভদ্র আচরণের শিকার হয়। কখনো বিচার মেলে, আবার কখনো বিচার ছাড়াই মামলা ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু আমাদের দেশের মহিলারা যদি এরকম আত্মনির্ভর হয়ে ঝাঁসির রানির মতো জ্বলে ওঠেন, তাহলে দেশে ইভটিজিং এর শিকারের হার অনেক কমে যাবে। মুজফরনগরের ওই যুবতীর কাণ্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই, চরম প্রশংসা করা হচ্ছে। এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।