বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশের পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত এবং গতিশীল করে তুলতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে বহুকাঙ্ক্ষিত বুলেট ট্রেন (Bullet Train Project) প্রকল্পের। এমতাবস্থায়, এই প্রকল্পের কাজ কতদূর এগোলো সেই বিষয়ে প্রত্যেকেরই আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে এবার, রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishanw) দেওয়া সর্বশেষ আপডেট অনুসারে জানা গিয়েছে, মুম্বাই-আমেদাবাদ হাই-স্পিড রেল (MAHSR) করিডোর প্রকল্প, যেটি সাধারণত বুলেট ট্রেন প্রকল্প নামে পরিচিত সেটি জমি অধিগ্রহণের কারণে বিলম্বের সম্মুখীন হয়েছে।
মূলত, বিভিন্ন দিকে অগ্রগতি সত্বেও জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০১৫ সালের জয়েন্ট ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট অনুসারে এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে খরচের প্রাথমিক অনুমান ছিল ১,০৮,০০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি, এই প্রকল্পটি ৮ বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। যদিও, জমি অধিগ্রহণে দেরি হওয়ায় প্রকল্পটি শেষ হতে আরও বেশি সময় লাগবে।
অধিগ্রহণ করা জমির বর্তমান অবস্থা: এখনও পর্যন্ত, আনুমানিক ১,৩৮৯.৫ হেক্টর জমির প্রয়োজনের মধ্যে প্রায় ১,৩৮১.৯ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি দেরি হয়েছে মহারাষ্ট্রে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে, অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৪২৯.৫৩ হেক্টর জমি। যা ২০২১ সালের মধ্যে অধিগ্রহণ করা ১৯৬.১৯ হেক্টর জমির তুলনায় অনেকটাই বেশি।
নির্মাণ সংক্রান্ত আপডেট: তবে, জানিয়ে রাখি যে, নির্মাণ পর্বে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। MAHSR প্রকল্পের জন্য সমস্ত চুক্তি প্রদান করা হয়েছে এবং সমগ্ৰ প্রকল্পটিকে ২৮ টি কন্ট্র্যাক্ট প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। ফাউন্ডেশন এবং পিয়ার নির্মাণের পাশাপাশি গার্ডার ঢালাই এবং লঞ্চিংয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৪৫,৬২১.১৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
চূড়ান্ত সময়সীমার প্রসঙ্গে কি জানালেন রেলমন্ত্রী: কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর সমস্ত চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে গেলেই চূড়ান্ত সময়সীমা এবং প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছেন। মূলত, জমি অধিগ্রহণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করাই এই প্রকল্পের সাথে জড়িত কর্তৃপক্ষের জন্য একটি প্রধান কাজ ছিল।
উল্লেখ্য যে, মুম্বাই-আহমেদাবাদ হাই-স্পিড রেল করিডোর এই দু’টি প্রধান শহরের মধ্যে ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে দেশে রেল সফরের ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। এমতাবস্থায়, সমস্ত বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে বুলেট ট্রেন প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। পাশাপাশি, আগামী মাসগুলিতে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি ত্বরান্বিত করার প্রচেষ্টা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।