বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক নিয়োগে বড় নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন বিএড (B ED) উত্তীর্ণরাও, নির্দেশ বিচারপতির। প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রাথমিকে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া (TET Recruitment Process) শুরু হয়েছে তাতে অংশ নিতে পারবেন বিএড উত্তীর্ণরাও। সোমবার বিচারপতির অন্তর্বর্তী নির্দেশ, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে যে সকল চাকরিপ্রার্থী বিএড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন, তারা চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।
সেই সমস্ত বিএড প্রার্থীদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ‘পোর্টাল’ আরও কিছু দিন খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ২০২২ এ প্রাথমিকে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেছিল পর্ষদ। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর পর্ষদ তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, ডিএলএড প্রশিক্ষণরতরাও চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আপত্তি করে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। যদিও তখন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, যারা প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন তারাই কেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পর্ষদের নির্দেশ খারিজ করে দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রশিক্ষণরতরা নন, যারা প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন তারাই একমাত্র অংশ নিতে পারবেন।
তবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ পাওয়ার জন্য মৃন্ময় সরকার-সহ ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী বলেন, ডিএলএড প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র প্রাথমিক স্কুলের জন্য। কিন্তু অনেকে বিএড সম্পূর্ণ করে আবার ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। ফলে পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে তারা ডিএলএড যোগ্যতায় আবেদন করেছেন।
আইনজীবীর আরও বক্তব্য, তখন যদি বলা হত প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করা বাধ্যতামূলক, তবে এই চাকরিপ্রার্থীরা বিএড দেখিয়ে আবেদনের পথ খোলা থাকত। পর্ষদের এই ত্রুটির কারণে অনেক প্রার্থী সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এরপরই এই মামলায় সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, যেহেতু পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিল, বিএড প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। ফলে এখন এই প্রার্থীদের যোগ্য বলে ধরে নিতে হবে। আপাতত তারা নিয়োগপ্রক্রিয়াতেও অংশ নিতে পারবেন।
তবে এও জানানো হয় আদালতের পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া ওই প্রার্থীদের ফলপ্রকাশ করা যাবে না। পাশাপাশি পূর্বে আবেদন করা প্রার্থীরাই একমাত্র তারাই চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। নতুন করে আবেদন করা যাবে না।
আগামী ১২ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।