বাংলা হান্ট ডেস্ক: মদ বিক্রির ক্ষেত্রে রাজ্যের একের পর এক রেকর্ডের ঘটনা ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি। এমনকি, প্রতিবারই কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে সুরা বিক্রির পরিমান। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার গত দুই মাসে গরমের মরশুমে বিয়ার বিক্রিতে সর্বকালীন রেকর্ড তৈরি করল আমাদের রাজ্য।
জানা গিয়েছে যে, অত্যধিক গরমে দিনে প্রায় ২০ লক্ষ বাক্স বিয়ার বিক্রি হয়েছে বাংলায়। মূলত, চলতি বছরের এপ্রিলে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে রাজ্যবাসী। সেই সময়েই হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে বিয়ার বিক্রির পরিমান। দিনের শেষে বিয়ারেই গলা ভিজিয়েছেন বহু মানুষ। আর তাতেই রেকর্ড তৈরি হয়েছে এই বিক্রিতে। শুধু তাই নয়, সাধারণত, অন্যান্য বছর গরমের সময়ে আমাদের রাজ্যে প্রতিদিন দশ লক্ষ বাক্স করে বিয়ার বিক্রি হত। কিন্তু, চলতি বছরে পূর্বের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে কার্যত দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বিয়ার বিক্রির পরিমান।
স্বাভাবিকভাবেই, এই বিপুল বিক্রির জেরে শুধুমাত্র গত দু’মাসেই এই খাতে রাজ্যের আয় হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এমনকি, সরকারি আধিকারিকরা দাবি করেছেন যে, বিগত চার বছরে বিয়ার বিক্রি করে ওই বিপুল পরিমান মুনাফা রাজ্যের কোষাগারে কখনওই আসেনি। যদিও, ২০১৯ সালেও বিয়ার বিক্রির পরিমান বেশি থাকলেও লাভের অঙ্ক এই জায়গায় পৌঁছয়নি।
এদিকে, সম্প্রতি রাজ্যে বিয়ার সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। সেই সঙ্কট বর্তমানে কিছুটা হলেও মিটেছে। যদিও, এখনও মোট চাহিদার তুলনায় জোগান অনেকটাই কম রয়েছে। বর্তমানে আমাদের রাজ্যে একাধিক ডোমেস্টিক বিয়ার তৈরির ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট রয়েছে। তবে, গত দুই মাসের সামগ্রিক চিত্রে ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের যে জোগান রয়েছে, তার তুলনায় অনেকটাই বেশি চাহিদা রয়েছে।
এমতাবস্থায়, এপ্রিল মাসেও একটি সংস্থা ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট তৈরি করেছে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যে, এবারের সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে বিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটগুলির উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়ানো হচ্ছে। আর তাতেই মোট চাহিদার অনেকাংশেই পূরণ সম্ভব হবে।