বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশের মসনদে বসে ২০১৯ সালের ১৫ ই আগস্ট লালকেল্লা থেকে জন্ম নিয়ন্ত্রণের (Population control) বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi)। তিনি বলেছিলেন, ‘অনেকেই কিন্তু ছোট পরিবার মধ্যেই তাঁদের দেশভক্তি প্রকাশ করছেন। তাঁদের দেখে কিছু শেখা প্রয়োজন এবং মানুষের মধ্যে সামাজিক সচেতনতারও প্রয়োজন আছে’।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য শুনেই একাধিক বিজেপি সাংসদ, দেশে এই আইন চালু করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। এমনকি তাঁরা সংসদেও এই বিষয়ে প্রস্তাব রেখেছিলেন। তবে সূত্রের খবর, করোনা মহামারি পরিস্থিতি তৈরি না হলে, এতদিনে এই আইন চালুর দিকে বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে যেত মোদী সরকার। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতিতে নানারকম বিতর্ক এবং বিরোধীদের আপত্তির বিষয়টা বিবেচনা করে এখনও এই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র সরকার।
তবে ইতিমধ্যেই দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন (Population control act) চালু করার প্রথম পদক্ষেপ নিয়ে নিয়েছে অসম সরকার। এই বিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকার ইতিমধ্যেই অসমে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন চালুর ঘোষণা করে দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, ১১ ই জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশেও এই জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন চালুর ঘোষণা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
আর মাত্র ৮ মাস পরেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেখানে এই ঘোষণা করার পেছনে কোন সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর যদি এই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ করার পর উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয় বিজেপি শিবির, তাহলে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে এই আইন চালুর টার্গেট নিয়েছে মোদী সরকার।